ঢাকা, রবিবার   ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

সুদানে ধর্মত্যাগের শাস্তি বাতিল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৫০, ২৩ জুলাই ২০২০

একই সঙ্গে অমুসলিমদের জন্য মদ্যপানে নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে দেশটি। নিষিদ্ধ করা হয়েছে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ। চার দশক ধরে কট্টর ইসলামি আইনে ইসলাম ত্যাগের শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড। দেশটির বিচারমন্ত্রী নাসরেদ্দীন আব্দুলবারি জানিয়েছেন, শীঘ্রই এ আইন দেশটিতে কার্যকর হবে। তিন দশকের শাসন শেষের বছরখানেক আগে তীব্র গণবিক্ষোভের মুখে পতন ঘটে ইসলামপন্থি স্বৈরশাসক ওমর আল-বশিরের। এরপর থেকে দেশটির নানা আইন ও বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসছে। খবর রয়টার্স, এএফপি ও ডয়চে ভেলে’র। 

তবে অমুসলিমদের মদ্যপানের অনুমতি দেয়া হলেও শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। তারা প্রকাশ্যে মদ পান করতে পারবেন না এবং জনগণের শান্তি বিঘ্নিত হয় এমন কিছু করতে পারবেন না। ১৯৮৩ সালে সুদানে ইসলামি আইন চালু করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাফর নিমেইরি। রাজধানী খার্তুমের পাশে নীল নদের জলে মদের বোতল ছুঁড়ে ফেলেন তিনি৷ ইসলামে মদ্যপান নিষিদ্ধ। কিন্তু মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সুদানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীও বাস করেন।

বিচারমন্ত্রী জানিয়েছেন, ধর্মত্যাগকে এতদিন অপরাধ হিসেবে দেখা হলেও সে আইনে পরিবর্তন আসছে। একই সঙ্গে নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদকেও অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে আইনে। ইউনিসেফের ২০১৪ সালের এক প্রতিবেদন বলছে, সুদানে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নারীর যৌনাঙ্গচ্ছেদ করা হয়। এখন থেকে সন্তানদের নিয়ে কোথাও ভ্রমণ করতে হলে নারীদের আর পরিবারের কোনো পুরুষ সদস্যের অনুমতি নিতে হবে না। বিচারমন্ত্রী আব্দুলবারি বলেন, “কোনো ব্যক্তি বা গ্রুপকে ‘বিধর্মী’ বা ‘অবিশ্বাসী’ বলার অধিকার কারো নেই। এর ফলে সমাজের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়, প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ তৈরি হয়৷ ওমর আল-বশিরের ক্ষমতাচ্যূতির পর সুদানে বর্তমানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রয়েছে।’

আন্দোলনকারী ও সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে গঠন করা এ সরকার শুরু থেকেই বেশ কিছু সংস্কার কাজ হাতে নিয়েছে। তিন বছরের জন্য গ্রহণ করা সংবিধানে রাষ্ট্রের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে ‘ইসলাম’ কথাটিও বাদ দেয়া হয়েছে। এ মাসের শুরুতে জনগণের কাছে আরও ক্ষমতা দেয়ার দাবিতে আবার রাজপথে নামেন হাজার হাজার আন্দোলনকারী। এরপর আরও বড় বড় সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল দেশটির সরকার।

এমএস/এসি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি