ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

মণিপুরে জঙ্গি হামলায় ৩ জওয়ান নিহত, আহত ৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৭, ৩০ জুলাই ২০২০

মণিপুরে জঙ্গি হামলায় নিহত হলেন তিন ভারতীয় জওয়ান। গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন আরও ৫ জন। প্রাথমিক অনুমান, মণিপুরের চান্ডেল জেলার মিয়ানমার সীমান্তের কাছে আগে থেকেই ওঁৎপেতে বসেছিল জঙ্গিরা। আসাম রাইফেলসের ১৫ জন জওয়ান টহল দিতে যেতেই হামলা চালায় তারা। 

বুধবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যার এই হামলার ঘটনায় পিপলস লিবারেশন আর্মির (PLA) হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই অনুযায়ী, হামলাকারীরা প্রথমে একটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় তারপর গুলি চালায়। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে মিয়ানমার সীমান্তে পাঠানো হয়েছে অতিরিক্ত সহযোগীতা।

উত্তর-পূর্ব সীমান্তের এই সংগঠন পিএলএর সঙ্গে চীনা আঁতাত রয়েছে বলে মনে করা হয়। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওই অংশে স্বাধীনতার পর থেকে প্রায় ৭৫০ জন আসাম রাইফেলের কর্মী নিহত হয়েছেন। 

অবশ্য, এই বছরই এনআইএ (NIA) ৬ পিএলএ জঙ্গির বিরুদ্ধে আসাম রাইফেলের উপর হামলা চালানোর অভিযোগে চার্জশিট এনেছিল। 

পুলিশ সূত্রের খবর, আসাম রাইফেলসের ১৫ জনের দলটি মায়ানমার সীমান্ত এলাকায় টহলদারির পরে খোংটাল শিবিরে ফিরছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ খোংটালের কাছেই জওয়ানদের লক্ষ্য করে প্রথমে আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। তারপর জঙ্গলের আড়াল থেকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে।

এর আগে ২০১৫ সালে এই চান্ডেল জেলাতেই ডোগরা রেজিমেন্টের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল এনএসসিএন (খাপলাং) জঙ্গিরা। ওই ঘটনায় ১৮ জওয়ান নিহত হয়েছিলেন। জবাবে মায়ানমারে খাপলাং গোষ্ঠীর শিবিরে ঝটিকা অভিযান চালিয়েছিল ভারতীয় সেনা।

এছাড়া চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এনএসসিএন (আইএম) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষবিরতি চুক্তি ভেঙে মণিপুরের সেনাপতি জেলায় আসাম রাইফেলসের কনভয়ে হামলা চালিয়ে অস্ত্রশস্ত্র লুটের অভিযোগ উঠেছিল।
সূত্র-জিনিউজ।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি