ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

অযোধ্যায় রামমন্দিরের ভূমিপুজো ৫ অগাস্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ২ আগস্ট ২০২০

রামজন্মভূমিতে সাজো সাজো রব- নিউজ ১৮ বাংলা

রামজন্মভূমিতে সাজো সাজো রব- নিউজ ১৮ বাংলা

করোনা মহামারীর ভিতরেই রামমন্দিরের কাজ শেষ। ভূমিপুজোয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এর পিছনে রাজনৈতিক লক্ষ্যও কাজ করছে। অযোধ্যায় রামমন্দিরের জন্য ভূমিপুজোর কাজ শুরু হবে আগামী ৩ অগাস্ট। ভূমিপুজো হবে ৫ অগাস্ট। সে দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অযোধ্যায় উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথম অযোধ্যায় রামজন্মভূমিতে পা রাখবেন মোদী। খবর জি ২৪ ঘন্টা, এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলে’র। 

রামজন্মভূমি ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, বারণসীর পুরোহিতরা ভূমিপুজোর দায়িত্বে থাকবেন। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন অযোধ্যার পুরোহিতরাও। ভূমিপুজোর দিন গর্ভগৃহে পাঁচটি রুপোর ইট রাখা হবে। গর্ভগৃহ হবে আটকোণা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ মন্দিরের যে নকশা বানিয়েছিল, মূলত তাকেই অনুসরণ করা হচ্ছে, তবে তা আরও বড় করা হয়েছে। তিনটি গম্বুজের জায়গায় পাঁচটি গম্বুজ থাকবে। মন্দিরের আয়তন হবে প্রায় ৮৪ হাজার বর্গফুট।

পুজো উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরে এখন চলছে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রবিবার যাবেন মন্দির চত্বরে। এই সময়েই ঐতিহাসিকরা ইতিহাসের পাতা খুঁড়ে ২০০টি এমন জায়গার সন্ধান দিচ্ছেন যেখানে রামচন্দ্র, লক্ষ্মণ ও সীতাদেবী পা রেখেছেন ১৪ বছরের বনবাসের সময়ে। কেন্দ্রীয় সরকার এমন ১৭টি জায়গাকে চিহ্নিত করেছে, যা রামপীঠ বলে পরিচিত হতে পারে, এখানে তৈরি হতে পারে করিডোর। একনজরে দেখে নিন জায়গাগুলি-

তমসা নদী-কথিত আছে, অযোধ্যা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই নদীটি রামচন্দ্র নৌকোয় পার করেছিলেন।
শৃঙ্গভারপুর- প্রয়াগরাজ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই স্থানেও রামচন্দ্রের পদস্পর্শ পড়েছিল। তিনি মাঝির সাহায্যে গঙ্গা পার করেন এই স্থানেই। এখন এই জায়গাকে সিঙ্গায়ুর বলা হয়। রামায়ণে কথিত আছে নিষাদরাজ্যের রাজধানী ছিল এই অঞ্চল।
কুড়াই- শোনা যায় এই অঞ্চলেও এসেছিলেন রামচন্দ্র।
প্রয়াগ- কুড়াই থেকে সরাসরি তিনি প্রয়াগে আসেন।
চিত্রকূট- মন্দাকিনী নদীর ধারে চিত্রকূট পাহাড় পবিত্র হিন্দুতীর্থ। এখানেই ভরত এসে রামচন্দ্রকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। একে অনেকে তপোভূমিও বলেন। কথিত আছে রামচন্দ্র পিতা দশরথের পিণ্ডদান করেছিলেন এখানেই।
সাতনা-এখানে শ্রীরামচন্দ্র কিছুকাল ছিলেন অত্রিমুনির আশ্রমে। এখানেই ভাগীরথী মন্দাকিনীর রূপে প্রবাহমান।
দণ্ডকারণ্য- চিত্রকূট ছেড়ে দণ্ডকারণ্যে বেশ কিছুদিন ছিলেন রামচন্দ্র।
পঞ্চবটী নাসিক- দণ্ডকারণ্য থেকে সোজা অগস্ত্যমুনির আশ্রম। কথিত আছে, গোদাবরী নদীর ধারে নাসিকের পঞ্চবটী বনে বেশ কিছুটা সময় কাটান রামচন্দ্র।
সর্বতীর্থ-এখান থেকেই রাবণ সীতাকে অপহরণ করেন। পথে জটায়ু তাকে বাধা দিলে রাবণ জটায়ুকে হত্যা করেন।
পরাণশালা- এটি অন্ধপ্রদেশের খাম্মাম জেলায় অবস্থিত।
তুঙ্গভদ্রা- বিভিন্ন জায়গায় সীতাকে খুঁজতে পা রেখেছেন রামচন্দ্র। তার মধ্যে একটি হল তুঙ্গভদ্রা এবং কাবেরীর তট।
শবরী আশ্রম- কর্ণাটকে পম্পা নদীর তীরে এই আশ্রমেও সীতাকে খুঁজতে খুঁজতে এসে ঢোকেন রামচন্দ্র।
ঋষ্যমুক পর্বত- শ্রীরামচন্দ্র বিস্তীর্ণ চন্দনবন পেরিয়ে আসেন ঋষ্যমুক পর্বতে। এখানেই তাঁর দেখা হয় হনুমান ও সুগ্রীবের সঙ্গে।
কোডিকড়াই- এই অঞ্চল থেকেই রামচন্দ্রের বানর সেনা রামেশ্বরম যাত্রা শুরু করেন।
রামেশ্বরম- লঙ্কাযাত্রার আগে এই অঞ্চলে রামচন্দ্র মহাদেবের আরাধনা করেন। বলা হয় এখানে শিবলিঙ্গটি তিনিই স্থাপন করেছেন।
ধনুসকোডি- এখান থেকেই শুরু হয় রামসেতু তৈরির কাজ যা সুদূর লঙ্কা পর্যন্ত প্রসারিত।
নুয়ারা পর্বত-মনে করা হয় এই অঞ্চল থেকে মাত্র ৯০ কিলোমিটার দূরেই রাবণের প্রাসাদ ছিল।
তমসা নদী-কথিত আছে, অযোধ্যা থেকে ২০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই নদীটি রামচন্দ্র নৌকোয় পার করেছিলেন।

এমএস/


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি