তুরস্কের বিরুদ্ধে ইইউ’র নিষেধাজ্ঞার হুমকি
প্রকাশিত : ১৭:০০, ২ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৭:০৩, ২ অক্টোবর ২০২০
তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন’র পতাকা
তুরস্ককে নিষেধজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। উসকানি ও চাপ দেয়ার নীতি বন্ধ না করলে তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। খবর ডয়চে ভেলে’র।
ভালো ব্যবহার করলে পুরস্কার, উস্কানি ও চাপের নীতি নিয়ে চললে নিষেধাজ্ঞা। তুরস্ককে চাপে রাখতে এই নীতি নিয়েই চলবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্যদিকে বেলারুশ নিয়ে ইইউ’র সিদ্ধান্ত, বেলারুশের ৪০ জন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। তবে সেই তালিকায় প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর নাম নেই।
বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তও তুরস্ককে চাপে রাখবে। ইইউ কউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এক সপ্তাহ আগে বেলারুশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞর কথা বলেছিলাম। এ বার তা চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমাদের কথার বিশ্বাসযোগ্যতা প্রমাণিত হলো। ’
আঙ্কারা সমানে বিভিন্ন আঞ্চলিক বিরোধে জড়িয়ে পড়ায় তুরস্কের বিরুদ্ধে ইইউ’র এই হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘাতে তুরস্ক জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা আজারবাইজানের পক্ষ নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়েছে এবং আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ। তুরস্ক অবশ্য তা অস্বীকার করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে অশোধিত তেল তোলা নিয়ে গ্রিসের সঙ্গে তুরস্কের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কাশ্মীর নিয়েও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সম্প্রতি রীতিমতো সোচ্চার হয়েছেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন বলেছেন, ‘আমরা তুরস্কের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই। এতে আঙ্কারার স্বার্থও বজায় থাকবে। আমরা চাই, তুরস্ক যেন এক তরফা উস্কানি ও চাপের নীতি না নেয়। এরপরেও যদি তুরস্ক আগের নীতি নিয়ে চলে, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাতে থাকা সব ব্যবস্থা নেব। সব বিকল্প খোলা থাকবে।’
ইইউ’র বৈঠকে ২৭টি দেশ তুরস্কের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছে। অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলার তুরস্কের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নকে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানের জন্য একটা রেড লাইন তৈরি করে দিতে হবে। সেই রেখা অতিক্রম করলেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে তুরস্কের বিরুদ্ধে।’
তবে ইইউ কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তুরস্ক তাদের নীতি থেকে সরে এলে তাদের ইনসেনটিভ দেয়া হবে। তাদের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা হবে, অভিবাসন নীতিও উন্নত করা হবে।
বৈঠকে এর্দোয়ান অবশ্য ইইউ’র তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, ইইউ-র কাঠামো অকার্যকর, দিগন্তহীন এবং অগভীর। তারা গ্রিস ও সাইপ্রাসের অহঙ্কারের সামনে দাসে পরিণত হয়েছে। তারপর অবশ্য এর্দোয়ান জানিয়েছেন, তিনি আলোচনা ও বিরোধ মেটানোর ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ।
এমএস/
আরও পড়ুন