ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর বিতর্ক ছিল মার্জিত ও বন্ধুভাবাপন্ন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১২, ৮ অক্টোবর ২০২০

কমলা হ্যারিস ও মাইক পেন্স- এপি

কমলা হ্যারিস ও মাইক পেন্স- এপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেনশিয়াল প্রার্থীদের বিতর্ক অনেকটা অপ্রধান বলেই গণ্য করা হয়। তবে এ বছর সেই ধারাতে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। তার কারণটা একেবারেই সুস্পষ্ট। খবর ভয়েস অব আমেরিকা’র। 

প্রথমত, গত সপ্তাহে ৭৪ বছর বয়সী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের করোনা সংক্রমণ এবং নানাবিধ অজানা প্রশ্ন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনের সতর্ক নির্বাচনী প্রচারণা তার বয়স ইত্যাদি কারণে আমেরিকান জনগণ অপেক্ষাকৃত কম বয়সী নির্বাচনী জুটির প্রতি অনেকটা আগ্রহ দেখাচ্ছেন। যারা প্রয়োজনে তাদের স্থলাভিষিক্ত হতে পারবেন। তবে গতরাতে শেষ হওয়া দুই প্রার্থীর ভদ্রোচিত একমাত্র বিতর্কটি প্রশংসিত হয়েছে।

প্রথমেই ডেমোক্র্যাটিক দলীয় প্রার্থী সেনেটর কমলা হ্যারিস কভিড ১৯ মোকাবেলায় সরকারের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘প্রথম থেকেই সরকারের উদাসীনতার কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ২,১০,০০০ জীবন নাশ হয়েছে। জো বাইডেনের সরকার প্রকৃত জনগণের ওপর বিনিয়োগ বৃদ্ধি করবে। শুধুমাত্র ধনীদের ওপরে নয়।’ সেনেটর হারিস বলেন, ‘বৃহৎ সংখ্যায় জনগণ ইতোমধ্যেই ভোট প্রয়োগ করেছেন এবং নির্বাচনী দৌড় এখন আমাদের অনুকূলে। বিগত প্রশাসনের অর্জিত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ওপরে ভিত্তি করে এই প্রশাসন তাদের সফলতার দাবি করে থাকে।’

এদিকে মাইক পেন্স প্যারিস চুক্তি থেকে প্রত্যাহারের পরেও দাবি করেন যে, সরকার জলবায়ু পরিবর্তনে অবদান রেখেছেন। জবাবে সেনেটর হারিস বলেন, ‘ক্যালিফর্নিয়া ও অন্যান্য রাজ্যের বনাগ্নি সর্বস্ব খুঁইয়ে নিলেও সরকার বন্য ব্যবস্থাপনার ওপরে তা চাপিয়ে দিয়েছেন।’ ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স বলেন, ‘বাইডেন-হারিস প্রশাসন ক্ষমতায় এসেই কর বৃদ্ধি করবে।’

তবে পর্যবেক্ষকদের ধারণা ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স যেমনি প্রত্যেকটি প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সময় নিয়ে তা তুলে ধরেছেন সেনেটর হারিস সেই সুযোগটি নিতে পারেননি। তবে শালীণতাপূর্ণ বিতর্কটি মোটামুটি উপভোগ্য হয়েছিল।

এমএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি