ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

যে কারণে ইয়েমেনে সৌদি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৪, ২৩ মার্চ ২০২১

ছয় বছর যুদ্ধ চালানোর পর সৌদি আরব ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে। সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আলে সৌদ এ খবর দিয়েছে। সৌদি আরব এক ‘শান্তি প্রস্তাব’ উত্থাপন করেছে যাতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নজরদারিতে ইয়েমেন জুড়ে যুদ্ধবিরতি পালিত হবে এবং দেশটির বিমান ও সমুদ্রবন্দরগুলো খুলে দেয়া হবে। প্রস্তাবে সানা বিমানবন্দর খুলে দেয়ার পাশাপাশি জ্বালানী ও খাদ্য আমদানির জন্য হুদায়দা সমুদ্রবন্দর খুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। 

তবে ইয়েমেনিরা সৌদির দেয়া এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ছয় বছর আগে ২৬ মার্চ ইয়েমেনের বিরুদ্ধে ভয়াবহ ও অসম যুদ্ধ শুরু করে। এ পর্যন্ত ইয়েমেনের হাজার হাজার মানুষ, ঘরবাড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে এখন দুর্ভিক্ষ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু তারপরও রিয়াদ সরকার এখন পর্যন্ত ইয়েমেনিদেরকে নতজানু করতে পারেনি। এ অবস্থায় সৌদি আরব ছয় বছর পর কেন যুদ্ধবিরতি চাইছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ প্রশ্নের উত্তরে দুটি কারণের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।

প্রথমত, সৌদি আরব তাদের সবচেয়ে বড় মিত্র অর্থাৎ সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে অত্যন্ত চাপের মধ্যে আছে। কারণ পাশ্চাত্যের পক্ষ থেকে শক্ত সমর্থন ছাড়া সৌদি আরবের পক্ষে কোনো যুদ্ধই চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আর দ্বিতীয়ত, ছয় বছর ধরে যুদ্ধ চালিয়ে সৌদি সরকার এটা বুঝতে পেরেছে যে, ইয়েমেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয়ী হওয়া সহজ কাজ হবে না। তা ছাড়া ইয়েমেনিরা এতো দিন ধরে হামলার শিকার হলেও এখন তারা সৌদি আরবের রিয়াদসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাল্টা হামলা চালানো শুরু করেছে। ফলে সৌদি আরবের যুদ্ধের ব্যয়ভার অনেক বেড়ে গেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। আমরা চাই সব পক্ষ অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে জাতিসংঘের তত্বাবধানে শান্তি আলোচনা শুরু করুক।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি