চীন-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নির্ভর করছে বাণিজ্য প্রতিশ্রুতির ওপর
প্রকাশিত : ২০:২০, ২৯ এপ্রিল ২০২১
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে দেয়া বাণিজ্য প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নে চীনের অগ্রগতি যাচাই করে বাইডেন প্রশাসন। দেশটির ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্যাথরিন তাই এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বেইজিংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটন কিভাবে সম্পর্ক এগিয়ে নিবে তা এই প্রতিশ্রুতিগুলোর মাধ্যমে নির্ধারিত হবে।
রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা স্পুটনিকের এক প্রতিবেদনে মার্কিন ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ তাই’র বক্তব্য উদ্বৃত করে বলা হয়, ‘আমরা তাদের কার্যক্রমগুলো পর্যালোচনা করে দেখছি। তারা কতটুকো কাজ করেছে, কতটুকো বাকি রয়েছে এবং তারা যে স্তরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো তা পূরণ করেছে কিনা এ সমস্ত বিষয়গুলো খুটিয়ে খুটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি এবং চীন তার কতটুকো রক্ষা করতে পারছে-এ বিষয়টি দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ও আমাদের সব পদক্ষেপ গ্রহনের পরিস্থিতি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।’
২০২০ সালের জানুয়ারিতে পরবর্তী দুইবছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে কমপক্ষে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য ও সেবা ক্রয়ের সম্মতি দেয় চীন। স্পুটনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০১৮ সালে দেশদুটির মধ্যে শুল্ক যুদ্ধ শুরুর পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে ফেজ ওয়ান চুক্তিটি স্বাক্ষর হয়।’
রুশ সংবাদ সংস্থাটিতে উল্লেখিত তথ্যানুযায়ি, চীন প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলার মূল্যমানের মার্কিন পণ্য আমদানি করেছে; যেখানে ২০২০ সালে ১৭৩ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো দেশটি। ফলে দেখা যাচ্ছে প্রথম বছরেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি মাত্র ৫৮ শতাংশ পণ্য ক্রয় করেছে চীন।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক মোটেও ভালো যায় নি। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সঙ্গেও দেশটির সম্পর্কের শুরুটা বন্ধুত্বপূর্ণ হয় নি। গত মাসে আলাস্কায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনের আমন্ত্রণে উভয় দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠকটি ছিলো তিক্ততায় পূর্ণ।
হংকং, শিনজিয়াং,দক্ষিণ চীন সাগর এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাদানুবাদ অব্যাহত রয়েছে। শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে কিছুটা হলেও দেশদুটিকে একমত হতে দেখা গিয়েছে।
সূত্র: এএনআই
এসি
আরও পড়ুন