কিশোরকে অপহরণ করে নির্যাতন, যুবতী গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১২:২৫, ১৪ জুন ২০২১ | আপডেট: ১২:২৯, ১৪ জুন ২০২১
এক কিশোরকে অপহরণ এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে এক যুবতীকে। ২৩ বছরের ওই যুবতীর বিরুদ্ধে ‘পকসো’ আইনেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের গুজরাটে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৫ মে থেকে নিখোঁজ ছিল ১৭ বছরের ওই নাবালক। গুজরাটের আনন্দ থেকে নিখোঁজ হয় সে। দুই দিন পর ২৭ মে নাবালকের পরিবারের লোকজন থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। দু’সপ্তাহ পর সুরাট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই কিশোরকে।
‘পকসো’ আইন কী?
ভারতে শিশুদের প্রতি যাতে কোনও ধরণের যৌন অপরাধ না হয়, তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে যে আইন, তাকেই ‘পকসো’ বলা হয়। যার পুরো কথা হচ্ছে- দ্য প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট ২০১২।
শুধু নিরাপত্তা দেওয়া নয়, কোনও শিশুর প্রতি কোনও প্রকার যৌন অপরাধ ঘটলে কীভাবে বা কি পদ্ধতিতে তার বিচার হবে, কোন আদালতে তার বিচার হবে, কোন পদ্ধতিতে শিশুটির সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে, কোন পদ্ধতিতে তদন্ত হবে, শিশুটির চিকিৎসা কীভাবে হবে– ইত্যাদি বিধানের ব্যবস্থা রয়েছে এই আইনে। পকসো আইনে ১৮ বছরের কম বয়সীদেরই শুধু শিশু বলে গণ্য করা হবে।
কী কী শাস্তির বিধান আছে এই আইনে-
• যৌন নির্যাতন বা ধর্ষণের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৭ থেকে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা। সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও জরিমানা।
• যৌন হয়রানির ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন সাজা ৩ থেকে ৫ বছরের কারাবাস। সর্বোচ্চ সাজা ৫ থেকে ৭ বছরের কারাবাস ও জরিমানা।
• অশ্লীল কাজের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫ বছর জেল ও জরিমানা। সর্বোচ্চ ৭ বছর জেল ও জরিমানা।
পুলিশ জানিয়েছে, বিয়ে করার অছিলায় আনন্দ থেকে ওই নাবালককে অপহরণ করে সুরাটে নিয়ে এসেছিলেন ওই যুবতী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানাতে পেরেছে, সেখানে ওই নাবালকের উপর যৌন নির্যাতনও করেছেন তিনি।
অভিযুক্ত ওই যুবতীকে গ্রেফতার করে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত হলে- ওই যুবতীর ৫ থেকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা হতে পারে বলেও জানায় পুলিশ। সূত্র- জিনিউজ।
এনএস/
আরও পড়ুন