ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

শত্রু দমনে চীনের কঠোর প্রতিজ্ঞা পশ্চিমাদের জন্য হুমকি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৫৭, ৪ জুলাই ২০২১ | আপডেট: ১৯:৫৮, ৪ জুলাই ২০২১

করোনা মহামারির মধ্যেও বর্ণাঢ্য আয়োজনে ব্যাপক লোকসমাগমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা চীনের কমিউনিস্ট পার্টি। দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে বক্তব্য দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

এ সময় তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘কেউ চীনের প্রতি বলপ্রয়োগ করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এ ছাড়া চীনকে কেউ দমিয়ে রাখতে চাইলে গ্রেটওয়ালের সামনে তার মাথা ঠুকে দেওয়া হবে এবং রক্তপাত উপভোগ করবে।’

তিনি বলেন, ‘চীনের জনগণের বলিষ্ঠ গর্ব ও আত্মবিশ্বাস আছে। আমরা কখনো বলপ্রয়োগ, অত্যাচার এবং অন্য জাতিকে দাস বানাব না। অতীতে কখনো এটি করিনি, বর্তমানেও না এবং ভবিষ্যতেও করব না।’

শি জিনপিং বলেন, ‘চীনের জনগণও কাউকে বলপ্রয়োগ, দমন-পীড়ন ও দাসত্বের সুযোগ দেবে না। এদেশের জনগণ কেবল পুরোনো পৃথিবীকে ধ্বংস করতেই দক্ষ নয় তারা নতুন পৃথিবী তৈরি করেছে। কেবল সমাজতন্ত্রই চীনকে রক্ষা করতে পারে। চীন অবশ্যই জাতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নকে তরান্বিত করবে।’

বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটির পাবলিক ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ট্যাং রেনুউ বলেছেন, ‘চীনা প্রেসিডেন্টের এই বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের ‘‘নিয়ন্ত্রণ’’ ও ‘‘দমনের’’ প্রতিবাদে। শি’র স্বাভাবিকের চেয়ে বলিষ্ঠ প্রতিক্রিয়ার ফলে চীনা জনগণের মধ্যে আরও দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবাদের অনুভূতি জাগ্রত হওয়ার প্রভাব পড়বে।’

দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের প্রভাব বাড়ানোর পর থেকে কয়েক মাস ধরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। এই অংশে সম্ভাব্য দ্বন্দ্বের ভয়ের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র বেইজিংয়ের বিপক্ষে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যা এই দ্বীপপূঞ্জে সামরিক প্রাচীর তৈরি করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার চীনা প্রতিপক্ষকে বলেছিলেন, ‘ইন্দোপ্যাসিফিক অঞ্চলে ইউরোপে ন্যাটোর মতোই যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে।’

বাইডেন আরও বলেন, ‘মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার ও মিত্রদের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্র কখনোই তার অবস্থান থেকে ফিরে আসবে না।’ এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘তাইওয়ান একীভূত করতে চীন তার অবস্থানে অনড়।’

শি জিনপিং হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক একতা রক্ষায় চীনের এই প্রতিজ্ঞা কারোরই অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়। চীনের সকল ছেলে-মেয়ে এমনকি তাইওয়ানবাসীকেও অবশ্যই একসঙ্গে কাজ করতে হবে সংহতি বজায় রাখতে। এ ছাড়া তাইওয়ানের স্বাধীনতার যেকোনো ষড়যন্ত্রকে দৃঢ়ভাবে প্রতিহত করা হবে।’

১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের সময় আলাদা সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় তাইওয়ানে। এটি বিতর্কিত অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। চীন এটি তাদের বলে দাবি করে আসছে। তাইওয়ানের সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর মিত্রতা রয়েছে। কয়েক মাস ধরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাইওয়ানকে চীনের সঙ্গে একত্রিত করতে চীন এখানে তার সামরিক বাহিনীর মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করতে পারে।

গত মে মাসে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে চাই ‘‘এক চীন নীতি’ চীন-অস্ট্রেলিয়া সম্পর্কের অন্যতম মূল বিষয়। তাইওয়ান চীনের একটি অংশ। একে বিচ্ছিন্ন করা যায় না।’

তিনি আরও বলেন, ‘তাইওয়ান ইস্যু সম্পূর্ণভাবেই চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি চীনের মূল আগ্রহের জায়গা এবং এই বিষয়ে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ গ্রহণ করব না।’ সূত্র : দি এক্সপ্রেস

এসি
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি