‘আফগানিস্তানে যুদ্ধাবস্থা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জকে তীব্র করেছে’
প্রকাশিত : ২০:০৬, ৫ আগস্ট ২০২১
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আফগানিস্তানে যে ক্রান্তিকাল দেখা যাচ্ছে এবং যে যুদ্ধ আবারও তার জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জকে তীব্র করছে। এর ফলাফল শুধু আফগানিস্তানের আশেপাশেই নয়, এর বাইরেও পড়বে। ব্রিকস একাডেমিক ফোরামের উদ্বোধনী অধিবেশনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘ব্রিকস বৈশ্বিক পুনর্বিন্যাসের একটি প্রতিশ্রুতি। এর মধ্যে রয়েছে অপরিহার্য বৈচিত্র্য এবং বহুত্ববাদ। এটি দেখায় করোনা মহামারি ও এর ফলে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা আমাদের রূঢ়ভাবে মনে করিয়ে দেয় ১৯৪০ এর দশকের সমস্যা মোকাবেলায় নির্মিত প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করা প্রয়োজন। আমাদের শতাব্দীর উপযোগী করে তুলতে হবে এসব প্রতিষ্ঠানকে।’
নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদের সম্প্রসারণ একটি প্রয়োজনীয় উপাদান বলে মন্তব্য করেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কিন্তু নিজেই এটি যথেষ্ট নয়। কাঠামোগত নিষ্ক্রিয়তা, অচলাবস্থা, অসম সম্পদের কারণে বহুপাক্ষিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
নিরাপত্তা পরিষদে এই ব্যবধান বা পার্থক্যের ফলে বহুপাক্ষিক ও আঞ্চলিক গোষ্ঠীসহ নতুন ছোট ছোট প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। ব্রিকসও এই ব্যবধানের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘প্রায়ই আমরা অন্যের প্রতিক্রিয়া নিয়ে আচ্ছন্ন হই। শূন্যতা পূরণের জন্য প্রকৃতপক্ষে আরও প্রচেষ্টা এবং পদক্ষেপ প্রয়োজন। এসব শূন্যতার মধ্যেই সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’
জয়শঙ্কর বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের প্রাথমিক বিচরণস্থান দ্বন্দ্ব-সংঘাতপূর্ণ স্থানগুলোতে নিহিত রয়েছে। পরস্পর বিদ্বেষপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রগুলোর মাধ্যমে এসব স্থানে মৌলবাদ উর্বর হয়ে ওঠে। আফগানিস্তানে যে ক্রান্তিকাল আমরা দেখছি এবং এর জনগণের ওপর যুদ্ধাবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে তা সন্ত্রাসবাদের চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এর ফলাফল শুধু আফগানিস্তানের আশেপাশেই নয়, এর বাইরেও পড়বে। তাই আমরা সকল অংশীদার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একটি সুস্পষ্ট, সমন্বিত এবং নিরপেক্ষ প্রতিক্রিয়ার সন্ধান করছি।’
সূত্র : এএনআই
এসি
আরও পড়ুন