ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

তৃণমূলে যোগ দিয়ে যা বললেন বাবুল সুপ্রিয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:০৭, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৮:১১, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১

অভিষেকের উপস্থিতিতেই দলবদল করেন বাবুল

অভিষেকের উপস্থিতিতেই দলবদল করেন বাবুল

মাসকয়েক আগে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর থেকেই জল্পনা বাড়ছিল। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান হলো। হঠাৎ করেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন ভারতের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আসানসোলের বিজেপি সাংসদ জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেকের উপস্থিতিতেই দলবদল করেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের সংবাদমাধ্যমের খবর, বাংলার হয়ে কাজ করার জন্য সামনে ‘বড় সুযোগ’ এসেছে, তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন বেজেপির প্রাক্তন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘মমতা দিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।’

এর আগে শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আচমকাই তৃণমূলে যোগ দেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি বাংলার শাসক দলের পতাকা হাতে তুলে নেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও।

সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল করলে মন্ত্রিত্ব হারান বাবুল। সঙ্গে সঙ্গেই এ নিয়ে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আনেন মোদী মন্ত্রিসভার দু’বারের এই মন্ত্রী। রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণার পাশাপাশি সাংসদ পদও ছেড়ে দেবেন বলে জানান তিনি।

তবে কেন সেই সিদ্ধান্ত 'পরিবর্তন' করেছেন? এমন প্রশ্নে প্রাক্তন এই মন্ত্রী দাবি করেন, রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি ঘোষণার পরই বহু মানুষের বার্তা পেয়েছেন তিনি। তাঁরা তাকে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের আর্জি জানান। তারপরই সিদ্ধান্ত পালটেছেন বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

বাবুলের দাবি, রাজনীতি ছাড়ার কোনও সিদ্ধান্ত নাটক ছিল না। শেষ তিনদিনে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাঁর সামনে যে সুযোগ এসেছে, সেটাই তিনি দু'হাত ভরে গ্রহণ করেছেন। বাবুলের কথায়, 'রাজনীতি ছাড়ার কথা মন থেকেই বলেছিলাম।'  তবে প্রত্যেকে বলেছিলেন যে, আবেগের বশে রাজনীতি ছেড়ে ফেলেছেন। 'আমি অত্যন্ত গর্বিত। মমতা দিদি ও অভিষেক যে দায়িত্ব আমায় দিচ্ছেন, তাতে আমি অত্যন্ত উত্তেজিত। বাংলার মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করব।'

সঙ্গে যোগ করেন, 'আমি জানি, আমার বিরুদ্ধে অনেক কিছু ট্রেন্ডিং হবে। আমার মনে যেটা ট্রেন্ড করছে, সেটা হলো, আমার সামনে সুযোগ এসেছে, তার জন্যই কাজ করব মন দিয়ে।'

শনিবার বাবুলের এই চমক শুধু বিজেপির কাছেই নয়, চমক ছিল তৃণমূলের কাছেও। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এমন চমক পাওয়া যাবে, তা শাসক দলের অনেকেই আশা করেননি। 

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে বাবুলকে প্রচারে নামার ডাক দিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। সঙ্গীত তারকা হিসেবে তালিকায় নামও ছিল তাঁর। কিন্তু তা জানার সঙ্গে সঙ্গেই বাবুল জানিয়ে দেন, তিনি ভবানীপুরে বিজেপির প্রচারে যোগ দেবেন না। বলেছিলেন, রাজনীতির থেকে দূরে থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাজনীতিতে থেকেই দূরত্ব তৈরি করলেন বিজেপির সঙ্গেই। 

তবে দলবদলের ফলে আসানসোলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেবেন কিনা, তা স্পষ্টভাবে জানাননি বাবুল। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে দু'একদিনের মধ্যেই জানানো হবে। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) মমতার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। সূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি