ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ভবানীপুরের উপনির্বাচন নিয়ে মমতার হুংকার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা ব্যানার্জি না জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন অন্য কেউ। তাই মুখ্যমন্ত্রী অপরিবর্তিত রাখতে নিজের পক্ষে ভোট চাইলেন মমতা ব্যানার্জি। 

বুধবার তিনি নিজের কেন্দ্রে ভোটপ্রচারে গিয়ে এ আর্জি করেন। সেখানে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি না জিতলে অন্য কেউ হবে মুখ্যমন্ত্রী। আমাকে মুখ্যমন্ত্রী রাখতে ভোট দিন। আমার কাছে প্রতিটা ভোটই দামি।’

এ দিন ভবানীপুরে আগের মেজাজেই ছিলেন মমতা। ঠিক যেমনটা দেখা গিয়েছিল ‘নীলবাড়ির লড়াই’-এর সময়। 

ভবানীপুরের জনসভায় মমতা বলেন, ‘২০২১-এর নির্বাচনে কৃষক আন্দোলনে জায়গা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছিল। তাই দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু ওখানে যে কীভাবে হারানো হয়েছে তা প্রকাশ্যে আসবে। আদালতে মামলা চলছে। জানা যাবে, আমার বিরুদ্ধে সেখানে কী করা হয়নি! মমতা মুখ্যমন্ত্রী হলে ভবানীপুর থেকেই হবে। এটা ভাগ্যের খেলা। আপনাদের ছেড়ে যাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।’

সেই সূত্রেই তিনি বলেন, ‘অনেকে ভাবছেন দিদি এমনিই জিতে যাবে। কিন্তু প্রতিটা ভোট দামি। একটা ভোট না দিলে আমার ক্ষতি হবে। ভোট না দিলে আমাকে পাবেন না।’

এ সময় নিজেকে জনগণের ‘পাহারাদার’ আখ্যাও দেন মমতা।

জনসভা থেকে বিজেপি-কেও আক্রমণ করেন তিনি। হুঙ্কার দিয়ে তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘আমি মোদী-শাহকে দাদা-ভাই বলতে পারি। এটা সৌজন্য। কিন্তু তাই বলে দেশে তালিবানি শাসন মেনে নেব না। দেশে সকলে থাকবে। দেশকে টুকরো করতে দেব না। রাজ্যকেও টুকরো করতে দেব না। সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিভাজন আসতে দেব না।’

উত্তরপ্রদেশের করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা করে একের পর এক ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। পাশাপাশি ত্রিপুরায় ১৪৪ ধারা জারি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রয়োজনে ত্রিপুরা, অসম, গোয়া এবং উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে।’ 

মমতার বার্তা, ‘আপনাদের এক একটা ভোট আগামী দিনে দিল্লির পথে পা বাড়াতে সাহায্য করবে। আপনাদের ভোট দাঙ্গাবাজদের রুখে দিতে সাহায্য করবে। এখানে গাছ পুঁতলে দিল্লিতে গিয়ে গাছ বড় হবে। এখানে গাছের চারাটা পুঁতে দিন।’

পাশাপাশি বিজেপি-কে হুঁশিয়ার করে মমতা বলেন, ‘তোমরা যদি মনে করো তোমরা বুনো ওল, তা হলে আমরা কিন্তু বাঘা তেঁতুল।’
সূত্র : আনন্দবাজার
এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি