ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রেকর্ড গড়ে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫০, ৩ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৫:৫৯, ৩ অক্টোবর ২০২১

মমতা ব্যানার্জী

মমতা ব্যানার্জী

পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুর উপনির্বাচনে রেকর্ড গড়েই বিশাল ব্যবধানে জিতলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে বিজেপি-কে হারিয়ে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। এর ফলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী থাকার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না মমতার। 

নন্দীগ্রামে হেরে দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় বসে বিপুল ব্যবধানে জিতে বিধানসভায় ঢোকার টিকিট নিশ্চিত করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে জিতেই ভবানীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘ভবানীপুরের মানুষের কাছে চিরঋণী আমি।’ এসময় তিনি আরও বলেন, ‘কোনও ওয়ার্ডে আমরা হারিনি।’ 

অর্থাৎ বাঙালি-অবাঙালি সবাই যে মমতাকেই সমর্থন করছেন, ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন- মূলত সেটাই আকারে ইঙ্গিতে বোঝালেন তৃণমূল নেত্রী।

পুরো ২১ রাউন্ড গণনা শেষে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল পেয়েছেন মাত্র ২৬ হাজার ৩২০ ভোট। অর্থাৎ ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া সিপিএম প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস পেয়েছেন ৪ হাজার ২০১ ভোট।

এ নিয়ে তৃতীয়বার ভবানীপুর থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১১ সালে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনী জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন মমতা। আর ২০২১ সালে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারের পর ফের ভবানীপুরে উপনির্বাচনের মাধ্যমে বিধায়ক নির্বাচিত হন তৃণমূল প্রধান। আর এরইসঙ্গে নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বও নিশ্চিত করলেন।

তবে নির্বাচনী রাজনীতিতে এটা মমতার দশম জয়। এর আগে চলতি বছরের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে হারলেও দলের কান্ডারি ছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বেই তৃণমল জেতে ২১৩টি আসন। এরপর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ভবানীপুর থেকে পদত্যাগ করে মমতাকে লড়ার সুযোগ করে দেন। আর সেই উপনির্বাচনে ভবানীপুরের মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য বিধায়ক হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল এই জয়ের পরও প্রদেশের কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই নির্বাচনে ভবানীপুরের মানুষের অশংগ্রহণের যে শতাংশ, তা দেখে এটা বোঝা যাবে- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি সেখানকার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস আছে কি নেই। ভবানীপুর তাঁর নিজের এলাকা হলেও মাত্র ৫৩ শতাংশ মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি ভবানীপুরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস বলতে যা বোঝায় সেটা নেই।”

অধীর আরও বলেন, “রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়ল ভবানীপুরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন এটার জন্য কোনও ভবিষ্যদ্বাণী দরকার হয় না, কোনও বিজ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন এটা আগেও জানা ছিল। কিন্তু ভবানীপুরে তাঁর প্রতি মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস সে রকম কোনও প্রতিফলন আমি দেখিনি।” সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি