বেইজিংয়ের কঠোর নীতিমালা তিব্বতের ওপর প্রভাব ফেলছে
প্রকাশিত : ২৩:০৭, ৮ নভেম্বর ২০২১
তিব্বতের ওপর বেইজিংয়ের কঠোর নীতিমালাগুলো দেশটির ধর্ম, সংস্কৃতি এবং অস্তিত্বের ওপর ধ্বংসাত্বক প্রভাব ফেলছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ সুইস ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনাকালে বিষয়টি অবহিত করেন সেন্ট্রাল তিব্বতান এডমিনেস্ট্রেশনের নির্বাসিত প্রেসিডেন্ট সিকইয়ং পেনপা সেরিং।
সেন্ট্রাল তিব্বতান এডমিনেস্ট্রশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তিব্বতের এই ইস্যুটিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে সুইস পার্লামেন্টের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেরিং। উল্লেখ্য, সেরিং ভারতের ধর্মশালায় নির্বাসিত তিব্বত সরকারের প্রেসিডেন্ট।
সুইস পার্লামেন্টের সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে সেরিং জানান, ঐতিহাসিকভাবেই তিব্বত কখনোই চীনের অংশ ছিলো না এবং তিব্বতের পরিবেশ ও মানবাধিকারের ইস্যু নৈতিকতার বিষয় রাজনৈতিক নয়। এছাড়াও তিনি তিব্বতের আন্দোলন এবং জনগনের ন্যায়সঙ্গত কারণগুলোকে আরো প্রসারিত করার পরিকল্পনা ও কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন। গত ৪ নভেম্বর সেরিং বার্নে আসার পর এই আলোচনা হয়।
বার্নে পৌঁছানোর পর সিকইয়ং সুইজারল্যান্ড ন্যাশনাল কাউন্সিলের (পার্লামেন্ট) সদস্য নিকোলাস ওয়াডারের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সুইস পার্লামেন্টে তিব্বত সমর্থনকারী গ্রুপের সদস্য এই নিকোলাস। এছাড়াও পার্লামেন্ট সদস্য প্রিসকা বিরার-হেইমো এবং সেডরিক ওয়ারমুথের সঙ্গেও সাক্ষাত করেন। এই আলোচনায় ওয়াডার সিকইয়ংকে সুইস পার্লামেন্টারি সাপোর্ট গ্রুপটির বিষয়ে জানান। বর্তমানে এই গ্রুপের সদস্যসংখ্যা ২০ জন। সূত্র: এএনআই
এসি
আরও পড়ুন