ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানদের ‘ভরসা’ পাচারকারী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩৫, ৯ নভেম্বর ২০২১ | আপডেট: ০৯:৪৩, ৯ নভেম্বর ২০২১

কাজ, অর্থ ও খাদ্যের অভাবে বিপর্যস্ত আফগানিস্তানের জনজীবন। সেইসঙ্গে শীতের শুরুতেই দেখা দিয়েছে তীব্র খরা। যে কারণে সামনে খাদ্যের অভাব আরও তীব্র হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় অবৈধ উপায়ে দেশ ছাড়ছেন বহু আফগান নাগরিক।  

আফগানিস্তানের পাকিস্তান ও ইরান সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত শহর জারঞ্জ। এটিই এখন মানব পাচারের কেন্দ্র। ঘণ্টায় যেখানে অন্তত ৫০টি পিকাপ ভ্যান আসছে। যার প্রত্যেকটিতে গাদাগাদি করে আছেন ১৫ থেকে ২০ জন। 

এদের প্রত্যেকেই চান নিজ দেশ ছাড়তে। এজন্যই প্রায় সাত ঘণ্টার মরু পথ পাড়ি দিয়ে  জারঞ্জ সীমান্তে জড়ো হচ্ছেন তারা।  

বেশিরভাগই যেতে চান ইরানে, কেউ আবার যেতে চান পাকিস্তানে। নতুন জীবনের খোঁজেই এই অজানার পথে পা বাড়িয়েছেন, বলছেন দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত আফগান নাগরিকরা। তবে তাদের সামনে আসলে কী অপেক্ষা করছে, জনেনা কেউই। 

প্রাথমিকভাবে সীমান্ত পেরোতেও তেমন বাধা পেতে হচ্ছেনা। কারণ কোনও পাসপোর্ট কিংবা ভিসার বালাই নেই। তালেবান বাহিনীর সদস্যদের সামান্য কিছু টাকা দিয়ে তাদের পার করে দিচ্ছে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। 

একেকটি ট্রাক পার করতে দশ থেকে এগারো ডলার করে দিতে হচ্ছে তালেবান বাহিনীকে। 

এমনই একটি অভিবাসনপ্রত্যাসী দলের একজন নারী জানান, কাবুলের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। কিন্তু গেলো তিন মাস ধরে বেতন পাননি, এখন কোলের ছোট্ট শিশুটির মুখে খাবার তুলে দিবেন কীভাবে? তাই দেশ ছাড়তে মরিয়া তিনি।  

তালেবান নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেছে, সেটি কবে স্বাভাবিক হবে কিংবা আদৌ হবে কিনা ঠিক নেই, সেইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও দিনকে দিন খারাপ হচ্ছে, এই কারণেই দেশ ছড়ছেন বলে জানিয়েছেন আরেক অভিবাসন প্রত্যাশী।  

জারঞ্জ সীমান্তের পরিস্থিতি এখন এমন, মাঝেমধ্যে মনে হচ্ছে পুরো আফগান জাতিই দেশ ছাড়ার পথ খুঁজছেন। 
সীমান্তের মানবপাচারকারীরা বলছেন তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে অবৈধ পথে দেশ ছাড়া মানুষের সংখ্যা দ্বিগুন হয়ে গেছে। 

এই অবস্থায় ঘটনাস্থলে থাকা তালেবান বাহিনীর সদস্যরাও নিরুপায়। তারা বলছেন, ক্রমবর্ধমান অভাবের কারণে দেশ ছাড়তে চাওয়া মানুষের যে ঢল নেমেছে তা আটকানো তাদের পক্ষেও সম্ভব না। 

সূত্র: বিবিসি

এসবি    


 


 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি