ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বাড়িভাড়া মাত্র ৪,৬১০ টাকা! ১৭ মাসে তাও দিতে পারেননি সোনিয়া গান্ধী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৩, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১০:৪৬, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী

কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী

মাসিক ভাড়া মাত্র ৪,৬১০ টাকা। তারপরও ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে কংগ্রেসের সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বাসভবন ‘১০ জনপথ’র ভাড়া বকেয়া পড়ে আছে। সেইসঙ্গে দিল্লির আকবর রোড এবং চাণক্যপুরীতে সরকারের দেয়া কংগ্রেসের যে দুটি ভবন আছে, ২০১৩ সাল থেকে সেই দুটিরও মাসিক ভাড়া দেয়া হয়নি। সম্প্রতি ভারতের ‘তথ্য জানার অধিকার আইনে’ (আরটিআই) জবাবে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে।

গুজরাটের মিথাপুরের সুরজিত প্যাটেলের আরটিআইয়ের জবাবে কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরায়ন মন্ত্রণালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লির ২৬ আকবর রোডস্থ সরকারি বাংলার (কংগ্রেসের সদর দফতরের একাংশ, দলের মহিলা শাখা এবং সেবাদলের অফিস আছে) মাসিক ভাড়া হল ১২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে এই ভাড়া দেয়া হয়নি। একইভাবে চাণক্যপুরীর ভবনের মাসিক ভাড়া ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মেটানো হয়নি। যে ভবনের মাসিক ভাড়া এখন ৫ লাখ ৭ হাজার টাকায় ঠেকেছে। 

নাম গোপন রাখার শর্তে ভারতের কেন্দ্র সরকারের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়াই থাকার জন্য দুটি ভবনের মাসিক ভাড়া বেশি হয়ে গেছে। কোনও নির্দিষ্ট সময়সীমার বেশি যদি ভাড়াটে থাকেন, তাহলে মাসিক ভাড়া পৃথকভাবে হিসাব করা হয়। আরটিআইতে যে ভাড়ার উল্লেখ করা হয়েছে, তা গত মাসের (২০২২ সালের জানুয়ারি)। যে পরিমাণ ভাড়া বকেয়া আছে, তা অনেকটাই বেশি।’ 

তবে ঠিক কত টাকা বাকি আছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি ওই কর্মকর্তা। এমনিতে আকবর রোডের বাংলা হল টাইপ-৮ ধরনের। যা ১৯৯৪ সালে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটিকে বরাদ্দ করা হয়েছিল। ১৯৮৫ সালে দেয়া হয়েছিল চাণক্যপুরীর ভবন।

অন্যদিকে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর সঙ্গী হিসেবে সোনিয়াকে ১০ জনপথের বাংলোটি দেয়া হয়েছিল। টাইপ-৮ ধরনের এই বাংলোর মাসিক ভাড়া হল মাত্র ৪ হাজার ৬১০ টাকা। যা ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে মেটানো হয়নি। 

উল্লেখ্য, ভারতীয় কেন্দ্র সরকারের উচ্ছেদ নোটিশের পর ২০২০ সালের জুলাইয়ে লোধি এস্টেটের বাংলো ছেড়ে দিয়েছিলেন সোনিয়ার কন্যা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা।

এমনিতে নিয়ম অনুযায়ী, দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে বাংলো দেয়া হয়। অফিস নির্মাণের জন্য যখন কোনও দলকে জমি দেয়া হয়, তখন সেই জমি হাতে আসার তিন বছরের মধ্যে ছেড়ে দিতে হয় সংশ্লিষ্ট বাংলো। সেখানে ২০১০ সালে জমি পেয়েছিল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেসের তরফে সরকারিভাবে মুখ খোলা হয়নি। 

তবে নাম গোপন রাখার শর্তে কংগ্রেসের এক শীর্ষ নেতা বলেছেন, ‘বাংলোগুলো ব্যবহারের মেয়াদ বাড়িয়েছিল সরকার। আমাদের নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলছে। করোনাভাইরাস মহামারীর জন্য কাজে বিলম্ব হয়েছে। সেই ভবন তৈরি হয়ে গেলেই আমরা বাংলো ছেড়ে দেব। নির্বাচনের জন্য সেই বিষয়টি উত্থাপন করা হয়েছে।’

যদিও কংগ্রেস নেতার এই যুক্তিকে পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র আরপি সিং বলেন, ‘পরিবারতন্ত্রের দিন শেষ হয়ে গেছে। সরকারি ভবনের জন্য কংগ্রেসকে অবশ্যই টাকা দিতে হবে। আমাদের সরকারের সময় যারা সরকারি ভবনে আছেন, তাদের অবশ্যই ভাড়া দিতে হবে এবং মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে তা ছেড়ে দিতে হবে।’ সূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি