ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ভেঙে পড়ছে আফগানিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:০২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আফগানিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থা দিন দিন ভেঙে পড়ছে। বিশেষ করে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান কাবুল দখলের পর থেকে আরও। কারণ তারা আশরাফ গনি সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে।

এক প্রতিবেদনে এএনআই এ তথ্য জানায়।

গত রোববার দেশটির পাকতিকা প্রাদেশিক শিক্ষা বিভাগ জানিয়েছে যে, এই অঞ্চল থেকে গত ২০ বছরে কোনো ‘হাই স্কুল গ্রাজুয়েট’ বের হয়নি। যা আফগানিস্তানের শিক্ষাব্যবস্থার ভয়াবহ চিত্রই তুলে ধরছে। 

শিক্ষা বিভাগের বরাত দিয়ে টোলো নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় পাকতিকা প্রদেশের ওরোমবাই, তারউই, দিলা খোসামান্দ, নাকা এবং বারমালের পাঁচটি জেলায় গত বছরে কোনও উচ্চ বিদ্যালয় স্নাতক বের হয়নি। এর কারণ নিরাপত্তার টানাপোড়েনের কারণে শিক্ষাব্যবস্থা ঠিকমতো সক্রিয় ছিল না।

পাকতিকা শিক্ষা বিভাগের প্রধান বলেছেন, আমাদের অঞ্চলে এই শিক্ষা ক্ষেত্রে নিরঙ্কুশ প্রবেশাধিকারের অভাব রয়েছে এবং সেটিই এখন আমাদের ফোকাস। আমরা তাদের সঠিক উপায়ে তাদের অধিকার দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

আদিবাসী প্রবীণরা জানান, উচ্চ বিদ্যালয়ের অভাব ও দুর্বল শিক্ষাব্যবস্থার কারণে হাজার হাজার যুবক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

টোলো নিউজের বরাত দিয়ে এএনআই উল্লেখ করেছে, এই জেলার শিক্ষার্থীদের জানিয়েছে যেসব পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো, তারা তাদের সন্তানদের প্রাদেশিক রাজধানী শরানায় পাঠাচ্ছে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। কিন্তু যেসব পরিবারে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা তারা তাদের সন্তানদের রাজধানীতে পাঠাতে পারছে না, তাই তাদের শিক্ষাগ্রহণ সেখানেই থেমে যাচ্ছে। 
বরমাল জেলার ছাত্র জাহিদ বলেন, ‘আমাদের জেলায় কোনো স্কুল তৈরি হয়নি। আমাদের যুবকরা অন্য দেশে পাড়ি জমায়।’

প্রাক্তন সরকারের আমলে খোসামান্দ জেলায় কোনো স্কুল ছিল না বলে জানিয়েছেন খোসামান্দ জেলার ছাত্র মোহাম্মদ দাউদ।

টোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, উপজাতীয় প্রবীণরা এই জেলার বাসিন্দাদের জন্য স্কুল নির্মাণ এবং শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য তালেবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

খোসামান্দের একজন আদিবাসী প্রবীণ আব্দুল রহিম বলেন, ‘দূরবর্তী অঞ্চলে এবং পাকতিকার কিছু জেলায় আমাদের কোনো উচ্চ বিদ্যালয়ের স্নাতক নেই। আমরা তালিবান কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানাই আমাদের জন্য স্কুল নির্মাণের।’

পাকতিকা প্রদেশ আফগানিস্তানের দক্ষিণ-পূর্বে ডুরান্ড লাইন বরাবর অবস্থিত। টোলো নিউজ জানিয়েছে, গত বছরে পাকতিকার শিক্ষা স্বাস্থ্য খাতগুলি সঠিকভাবে বিকশিত হয়নি, যেখানে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি