অর্থ ফেরত দিলে সন্ত্রাসবাদে ব্যয় করতে পারে তালেবান
প্রকাশিত : ২০:৫৩, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে থাকা দেশটির বিপুল পরিমাণ অর্থ জব্দ (ফ্রোজেন) করেছে।
ওই অর্থ যেন কোনভাবেই তালেবানের হাতে না যায়, তা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুসাইন হাক্কানি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সংবাদমাধ্যম দ্য হিলকে সাবেক এই রাষ্ট্রদূত বলেন, 'জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রয়োজন অনুয়ায়ী আফগানিস্তানে তাদের মানবিক সহায়তা চালিয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোনভাবেই জব্দ হওয়া তহবিলের অর্থ তালেবানের হাতে দেওয়া উচিত নয়। তাহলে সেটি সন্ত্রাসবাদে ব্যয় হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
পাকিস্তানের সাবেক এই রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, তালেবান যে সন্ত্রাসীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে না এবং তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা রাখছে না; এখনও তারা সেটি প্রামাণ করতে পারেনি। উপরন্তু নারীদের সঙ্গে তাদের আচরণ প্রকাশ করে যে তারা নিজেদের শুধরে নেয়নি। এমতাবস্থায় তাদের হাতে অর্থ দেওয়া মানে তা সন্ত্রাসবাদকে উস্কে দেওয়া।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে আফগানিস্তানের মোট সাত বিলিয়ন মার্কিন ডলার জমা আছে। যার অর্ধেক আফগান জনগণের কল্যাণ ও মানবিক সহায়তার কাজে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাকি অর্ধেক ২০০১ সালের টুইন টাওয়ার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকান পরিবারের সদস্যদের দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
তবে, বাইডেনের এ সিদ্ধান্তকে ‘চুরি’ এবং ‘নৈতিক অবক্ষয়’ বলে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তালেবান সরকার। জাতিসংঘে তালেবানের পক্ষ থেকে নিয়োগের জন্য আফগান প্রার্থী সুহাইল শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ওই পুরো অর্থ আফগানিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিলে জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কাবুলের পতনের পর আফগানিস্তানে আর্থিক সহয়তা বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র-সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। ফলে দেশটিতে আর্থিক সংকট ও চরম মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। গত জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ আফগান নাগরিকদেরই খাদ্যের যোগান নেই!
এসি
আরও পড়ুন