ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ট্রান্সনিস্ট্রিয়া কোথায় এবং কেন এটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০২, ২৬ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ২১:০৪, ২৬ এপ্রিল ২০২২

বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার রেডিও মাস্ট

বিস্ফোরণে উড়ে গেছে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার রেডিও মাস্ট

সম্প্রতি ট্র্যান্সনিস্ট্রিয়াতে একটি রহস্যময় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যেখান থেকে গোটা ইউক্রেনে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কোথায় অবস্থিত এই ট্রান্সনিস্ট্রিয়া? কেন এটা রাশিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ?

ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ মলদোভাতেই অবস্থিত রাশিয়াপন্থী বিচ্ছিন্ন অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়া। এর একজন কর্মকর্তাই গ্রেনেড হামলার জন্য ইউক্রেনের তিন অজ্ঞাত অনুপ্রবেশকারীকে অভিযুক্ত করেছেন। যা ওই অঞ্চলের একটি নিরাপত্তা সদর দফতরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরআইএ এবং ইন্টারফ্যাক্সের উদ্ধৃতি দিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেছেন, তারা তিরাসপোলের 8 কি. মি. (পাঁচ মাইল) উত্তরে নভোলাদিমিরোভকা থেকে প্রবেশ করে, তিরাসপোলের ভবনে গুলি চালায়, তারপর ইউক্রেনে ফিরে আসে। যদিও এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ওই কর্মকর্তা একে "সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড" বলে অভিহিত করেছেন এবং ইউক্রেনকে "ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার ভূখণ্ডে সংঘাত ছড়িয়ে দেয়ার জন্য উস্কানিদাতা" হিসেবে অভিহিত করেছেন।

যদি তার এই দাবির সমর্থনে কোনো স্বাধীন প্রমাণ নেই।

ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় রিপোর্ট করা অপর দুটি হামলা হয় রেডিও মাস্ট এবং একটি রাশিয়ান সামরিক ইউনিটে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য ইউক্রেনের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রায় ১৫শ সৈন্য রয়েছে ট্রান্সনিস্ট্রিয়াতে। যে জায়গাটি ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী এবং ১৯৯২ সালে একটি সংক্ষিপ্ত যুদ্ধে মলদোভা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

এখন ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া যদি ট্রান্সনিস্ট্রিয়াকে শক্তিশালী করে, তাহলে এটি ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর শহর ওডেসাতে রুশ বাহিনীকে অগ্রসর হতে সক্ষম করবে। ফলে তারা পূর্ব দিকে ইউক্রেনীয় সেনাদের দ্বারা অবরুদ্ধ শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হবে।

গত শুক্রবার রুস্তম মিনেকায়েভ নামে একজন শীর্ষ রুশ জেনারেল বলেন, "ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়াটাই হবে ট্রান্সনিস্ট্রিয়ায় যাওয়ার আরেকটি উপায়। যেখানে রুশ ভাষা-ভাষী জনগণের ওপর নিপীড়নের ঘটনাও রয়েছে"।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোতে জাতিগত রাশিয়ানদের "সুরক্ষা" দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এটাই ছিল ইউক্রেনে আক্রমণের পক্ষে তার যুক্তি। মলদোভাও পূর্বে সোভিয়েত মোল্দাভিয়া ছিল।

মলদোভা ন্যাটো বা ইইউতে নেই। এটি ইউরোপের দরিদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে একটি এবং অনেক জাতিগত ইউক্রেনীয়দের বাসস্থান। আর এসব কারণেই মলদোভা এবং ট্রান্সনিস্ট্রিয়া রাশিয়ার জন্য এতটা গুরুত্বপূর্ণ। সূত্র- বিবিসি।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি