গ্রেফতার হতে পারেন ইমরান খান!
প্রকাশিত : ১০:৩২, ২১ আগস্ট ২০২২
ইমরান খান
গ্রেফতার হতে পারেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় দেশটির শীর্ষ তদন্তকারী সংস্থা ‘ফেডেরাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’র (এফআইএ) দুটি নোটিসের উত্তর দেননি ইমরান। তিন নম্বর নোটিস দেয়ার পরও জবাব না মিললে ইমরানকে আইন অনুযায়ী গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মামলায় ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফকে (পিটিআই) দ্বিতীয় নোটিস পাঠায় এফআইএ। কিন্তু সেই নোটিসের কোনও জবাব দেননি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।
এরপর তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে তিন নম্বর নোটিসটি পাঠানো হবে। সেই নোটিসেরও জবাব না দিলে ইমরানকে গ্রেফতার করা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে এফআইএ।
এর আগে গত ১০ আগস্ট প্রথম নোটিসের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী সংস্থার কাছে হাজিরাও দেননি ইমরান।
জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়ামে পাঁচটি সংস্থার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তকারী সংস্থা আরও জানতে পেরেছেন যে, ওই পাঁচ সংস্থা থেকে ইমরানের দলে অর্থ সরবরাহ করা হয়েছিল, যা পাক নির্বাচন কমিশনের হলফনামায় উল্লেখ করা হয়নি।
এই মাসের শুরুতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, ইমরানের পিটিআই বেআইনিভাবে ৩৪ জন বিদেশি নাগরিকের থেকে তহবিল সংগ্রহ করেছে। যার মধ্যে রয়েছেন এক জন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী।
এই মামলায় ইমরানের দলকে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছিল কমিশনের তিন সদস্যের বেঞ্চ। ইমরান ও তার দলের থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসে এই মামলা দায়ের করেছিলেন পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আকবর এস বাবর। যিনি বর্তমানে পিটিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত নন। এরপর এফআইএ-র নোটিস প্রত্যাহার করতে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দেন ইমরান।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, “আমি উত্তর দিতে বাধ্য নই। কোনও তথ্য পেশ করতেও বাধ্য নই। দু’দিনের মধ্যে নোটিস যদি প্রত্যাহার না করা হয়, তা হলে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে দাবি করা হয়েছে যে, ইমরানকে দোষী সাব্যস্ত করতে তাদের হাতে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সূত্র- আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ//এনএস//
আরও পড়ুন