ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

মিয়ানমারে জান্তা-বিদ্রোহী সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ১৫

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৯, ২১ অক্টোবর ২০২২

মিয়ানমারের কারেন বিদ্রোহীরা শুক্রবার থাই সীমান্তের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালিয়েছে। এসময় সামরিক জান্তার সাথে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সীমান্ত ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ পালিয়ে গেছে। 

স্থানীয় গণমাধ্যম দ্য ইরাওয়াদ্দি জানিয়েছে, সংঘাতের সময় সামরিক জান্তার বিমান হামলায় তিন জন নিহত হয়েছেন। ছয় শিশুসহ আহত হয়েছেন ১৫ জন। খবর এএফপির।

কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরোধিতা করেছিল। জান্তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যদের তারা আশ্রয়ও দিয়েছে। সীমান্তের ওই হামলায় বিদ্রোহী ফোর্সও যুক্ত হয়।

সীমান্ত শহর কাওকারিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় জান্তার সঙ্গে বিদ্রোহীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘাতের কবলে পড়া এক বাসিন্দা জানান, সংঘাতপূর্ণ এলাকায় থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে একটি প্রধান সড়ক রয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী সরকারি অফিসে হামলা করে। এ সময় ব্যাপক গোলাগুলি হয়।

স্থানীয়রা জানান, তারা ভারি কামানের গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন। সংঘাতে অন্তত তিন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছেন এবং ১৫ জনকে হাসপাতালে পাঠাতে দেখা গেছে।

কেএনইউ-এর একজন মুখপাত্র বলেন, তাদের যোদ্ধারা শহরের আশপাশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই করেছে। সেনাবাহিনী তাদের বিদ্রোহীদের দমাতে একাধিক বিমান হামলাও চালায়। উভয়পক্ষে হতাহত হয়েছে। তবে বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়নি।

এক বাসিন্দা এএফপিকে জানান, আমরা সংঘাতের সময় বেজমেন্টে লুকিয়ে ছিলাম। আমার চোখের সামনে বিস্ফোরণে একজনকে নিহত হতে দেখেছি। অনেকে এ সময় হাসপাতালে নিতে দেখা যায়। বার বার আর্টিলারি ফায়ারের শব্দও শোনা যায়।

বাসিন্দারা জানান, প্রায় চারটি যুদ্ধবিমানকে আকাশে বহুবার উড়তে দেখা গেছে। আমরা আতঙ্কিত। কিছু লোক নিরাপত্তার জন্য শহরের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে সীমান্তের দিকে।

দ্য ইরাওয়াদ্দিকে কেএনইউ যোদ্ধারা জানিয়েছে, বিমান ও আর্টিলারি হামলায় অনেক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জান্তা দাবি করেছে, জাতিগত বিদ্রোহী ও পিডিএফ যোদ্ধারা ভোর থেকে আবাসিক এলাকা, সরকারি কোয়ার্টার এবং সরকারি অফিসে হামলা চালায়।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সুচির বেসামরিক সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে সামরিক জান্তা। এর পর থেকেই জান্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক সংঘাত-সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহীরা। তারা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরিয়ে আনতে চায়।

এনএস//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি