ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪

বেইজিংয়ের উত্থান হিমালয়ের প্রতি যুক্তরাজ্যকে আগ্রহী করবে: রিপোর্ট

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১১, ১৩ নভেম্বর ২০২২ | আপডেট: ১৭:১৩, ১৩ নভেম্বর ২০২২

দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। বেইজিংয়ের উত্থান হিমালয় অঞ্চল নিয়ে যুক্তরাজ্যকে আগ্রহী করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে যুক্তরাজ্যের সরাসরি কোনো উদ্বেগের বিষয় জড়িত নেই। কাউন্সিল অন জিওস্ট্র্যাজি নামে একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের গ্রে সার্জেন্টের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জনসংখ্যার কাঠামো পরিবর্তনের প্রচেষ্টার পাশাপাশি পিআরসি (পিপলস রিপাবলিক অব চায়না) ভুটানি অঞ্চলে অবকাঠামো নির্মাণ করছে এবং নেপালে তার হস্তক্ষেপও বাড়িয়েছে।

যদিও ভুটান এবং পিআরসির মধ্যে তাদের ৪৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত নিয়ে আঞ্চলিক বিরোধ কয়েক দশক ধরে চলে আসছে। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেইজিং স্থায়ীভাবে বাস্তবতা পরিবর্তনের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে।

এছাড়াও পিআরসির এমন আচরণ দেখাচ্ছে যে তাদের মধ্যে সীমানা ছাড়িয়ে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা বাড়ছে। তার পক্ষে স্থিতাবস্থা পরিবর্তন করার জন্য সিদ্ধান্তমূলকভাবে কাজ করার ক্রমবর্ধমান ইচ্ছাকে প্রদর্শন করে। উদাহরণস্বরূপ দক্ষিণ চীন সাগর এবং তাইওয়ান প্রণালীর কথা বলা যায়। 

পিআরসি হিমালয় পার হয়ে নেপালে আসা তিব্বতি উদ্বাস্তুদের প্রবাহ রোধ করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। বেইজিং নেপালের সীমান্তের অভ্যন্তরে তিব্বত ও তিব্বতপন্থি তৎপরতা দমন করার জন্য নেপালকেও চাপ দিচ্ছে।

এই দীর্ঘস্থায়ী ইস্যুগুলো কীভাবে ছোট দেশগুলির মধ্যে ক্রমবর্ধমান পিআরসির প্রভাবের ফলে মানবাধিকারের অবনতি ঘটতে পারে তার একটি অন্যতম উদাহরণ। শুধু তাই নয়, এটিও বোঝা যায় যে বেইজিংয়ের এক চীন নীতির প্রতি তাদের সক্রিয় সমর্থন রয়েছে।

ভারত পিআরসির সঙ্গে যে নদীগুলো ভাগ করে নেয় সেগুলো নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। বেইজিংয়ের ঠিক কতটা জল নিচের দিকে প্রবাহিত হবে তা নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা রয়েছে এবং স্বচ্ছতার প্রতি পিআরসির উদাসীনতা এই উদ্বেগগুলোকে আরও বাড়িয়েছে। 

কাউন্সিল অন জিওস্ট্র্যাটেজি জানিয়েছে, এই ইস্যুটি চীনের আন্তর্জাতিক নিয়ম উপেক্ষা করার যে ইচ্ছা সেটিকেই প্রদর্শন করছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ভারতের সঙ্গে বৃহত্তর আঞ্চলিক বিরোধের একটি হাতিয়ার হিসেবে তারা দেখে। 

থিঙ্ক ট্যাঙ্কটি ব্রিটিশ সরকারের জন্য বেশ কিছু সুপারিশও তালিকাভুক্ত করেছে। তারা বিশ্বাস করেন, যে যুক্তরাজ্যের উচিত এই অঞ্চলের সামুদ্রিক এবং অন্যান্য বিষয়গুলোকে কভার করে ইন্দো-প্যাসিফিকের দিকে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করা। সূত্র: এএনআই।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি