ঢাকা, শুক্রবার   ১৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

তিব্বতের হিমবাহ গলে প্রভাব পড়তে পারে এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:০৯, ২০ জানুয়ারি ২০২৩

Ekushey Television Ltd.

তিব্বত মালভূমিতে হিমবাহ গলে যাওয়ার ফলে কিছু জায়গায় অতিরিক্ত পানি এবং অন্য জায়গায় পানির ঘাটতি দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে হিমবাহ গলে ওই অঞ্চলের নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম হামরাকুরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি জনসংখ্যার এশিয়ায় বিশেষ করে পানি বিষয়ক সমস্যাগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো পানি সরবরাহ ব্যবস্থার পরিবর্তনের যে কথা বলছে, তা ভবিষ্যত জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এশিয়ার পানি সুরক্ষার ওপর প্রভাব ফেলবে।

অবকাঠামো ও কৃষিকে প্রভাবিত করে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবগুলো কীভাবে মোকাবেলা ও প্রশমিত করা যায় সে সম্পর্কে জাতিগুলোর মধ্যে কোনো স্পষ্ট ঐক্যমত নেই। যেহেতু দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশ বিশেষ করে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতের মতো নিচু নদী তীরবর্তী অঞ্চলের দেশগুলো উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন, এবং খাবার পানির জন্য একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করা পানির সম্পদের উপর নির্ভর করে, তাই পানি সম্পদের ভারসাম্যহীনতা নিচু এলাকায় নিরাপত্তাহীনতা বাড়াবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

তিব্বত মালভূমি চীন, ভারত ও নেপালসহ এই অঞ্চলের অনেক মানুষের জন্য পানির একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্স। ফলে পানি সরবরাহের পরিবর্তন এই দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের কারণ হতে পারে। আন্তর্জাতিক গবেষণাগুলো বলছে, ২০৫০ সাল নাগাদ অধিকাংশ নদী থেকে পানি সরবরাহ কমে যাবে।

এছাড়া এই অঞ্চলে মানবিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে।  চীনের 'আপস্ট্রিম পাওয়ার হাউস' বিষয়ে নিজেদের কোনো স্বায়ত্তশাসিত আন্তঃসীমান্ত নদী নীতি নেই।

বেইজিং তার প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তি বা আন্তর্জাতিক আন্তঃসীমান্ত পানি চুক্তিতে সই করেনি। ফলে পানি বণ্টনে নিজেদের প্রাপ্যতা এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সংঘাতের সম্ভাবনায় উদ্বিগ্ন নদী তীরবর্তী নিচু অঞ্চলগুলো।

এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি