ঢাকা, রবিবার   ১৩ অক্টোবর ২০২৪

‘নিশ্চিত ছিলাম আমি ও আমার পরিবার মারা যাচ্ছি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:১২, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপের বাসিন্দা এরদেম। তুরস্কের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্পের কম্পনে ঘুম ভাঙে তার। 

তিনি বলেন, “৪০ বছরের জীবনে এমন কম্পন অনুভব করিনি আমি। কমপক্ষে তিনবার খুব জোরে কম্পন অনুভব করেছি। একটি খাঁচায় শিশুকে দোলালে যেমন ঠিক তেমনভাবে। 

“জীবন বাঁচাতে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে থেকে মানুষেরা নিজ নিজ প্রাইভেটকারের দিকে ছুটে গিয়েছিল। ধারণা করছি গাজিয়ানটেপের একজন বাসিন্দাও এখন আর নিজ বাসভবনে নেই।“ বলছিলেন এরদেম। 

ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে ১৩০ মাইল পশ্চিমে আদানা প্রদেশের বাসিন্দা নিলিফার আসলান বলেন, “যখন আমাদের পঞ্চম তলার এপার্টমেন্ট কেঁপে উঠলো তখন আমি নিশ্চিত ছিলাম যে আমি এবং আমার পরিবার মারা যাবো।“

“এমন ঘটনা আমি আমার জীবনে আর কখনো দেখিনি” বলেন নিলিফার। 

তিনি বলেন, “আমি আমার পরিবারকে বলছিলাম, ভূমিকম্প হচ্ছে, চলো আমরা অন্তত এক জায়গায় এক সাথে মৃত্যুবরণ করি। এই একটা বিষয়ই মনের মধ্যে চলছিলো তখন।“

কম্পন থামলে নিলিফার বাইরে বেরিয়ে আসেন এবং দেখেন তার আশেপাশের চারটি ভবন ধসে পড়েছে। 

৩০ বছর বয়সী একজন বলেন, “সব জায়গায় শুধু মানুষেন চিৎকার আর আর্তনাদ, আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে পাথর সরাচ্ছিলাম আর আহতদের বের করে আনছিলাম। তারপর একসময় উদ্ধারকারী দল আসে।“  

মুহিতিন ওরাক্কি নামের আরেকজন জানান, তার পরিবারের সাত সদস্য ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়েছেন। তারা হলেন তার স্বামী, তিন সন্তান, শ্বশুর-শাশুড়ি ও তার বোন। 

আফটারশক এবং অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। 

একজন বিবিসিকে জানান, রাস্তায় বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরছে মানুষ। আমার চোখের সামনেই আফটারশকের কারণে একটি ভবনের জানালা ফেটে যেতে দেখেছি।“ 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি