ঢাকা, সোমবার   ১৪ অক্টোবর ২০২৪

কঠোর সাইবার নিরাপত্তা কৌশল চালু করছে যুক্তরাষ্ট্র

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৫৩, ৪ মার্চ ২০২৩

বাইডেন প্রশাসন ইন্টারনেট জগতকে হ্যাকারদের কাছ থেকে আরো সুরক্ষিত রাখতে, অধিকতর বিস্তারিত কেন্দ্রীয় নীতিমালা প্রণয়নের ওপর জোর দিচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ভোক্তার কাছ থেকে সাইবার নিরাপত্তার দায়িত্ব সরিয়ে অধিক হারে প্রতিষ্ঠানের দিকে নিয়ে আসা এবং র‍্যানসমওয়্যার আক্রমণকে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা।

এই পরিকল্পনাটি, বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা প্রশাসনের জাতীয় সাইবার কৌশলের অংশ। এই কৌশলের রয়েছে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। সেখানে অন্তর্ভুক্ত থাকছে, কীভাবে ব্যক্তি, সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপদে ডিজিটাল জগতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে, তা নিশ্চিত করার নানা দিক। এর মধ্যে রয়েছে, “নির্মাণকৌশলের দ্বারা নিরাপত্তা” নিশ্চিত হয়, এরকম পণ্য তৈরিতে, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার শিল্পকে বাধ্য করার প্রস্তাব। এ ধরনের পণ্য এমনভাবে তৈরি ও পরীক্ষা করতে হবে, যাতে বাজারে আসার আগেই সব ধরনের ফাঁকফোকর ও ত্রুটি দূর হয়ে হ্যাকিং এর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পায়।

প্রশাসনের কৌশলের ৫টি মূল ভিত্তি রয়েছে। এগুলো হল, গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর সুরক্ষা দেওয়া; যেসব উৎস থেকে ঝুঁকি আসতে পারে, সেগুলোকে বাধা দেওয়া ও অকেজো করে দেওয়া; বাজারে কার্যকর শক্তিগুলোকে এমন ভাবে গড়ে তোলা, যাতে তারা নিরাপত্তা ও সহনশীলতার দিকে বিশেষ নজর দেয়; টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ এবং একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব তৈরি করা।

এখন রিপাবলিকানরা হাউজ অফ রেপ্রেজেন্টেটিভস নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে, এ সব আইনি রূপান্তর বাস্তবায়ন করতে প্রশসিনকে কঠিন সংগ্রাম করতে হতে পারে। প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা স্বীকার করেন, প্রতিষ্ঠানকে দায়বদ্ধ করার জন্য আইনে পরিবর্তন আনার প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ-মেয়াদি। এতে এক দশকও লেগে যেতে পারে।

নতুন কৌশলে, র‍্যানসমওয়্যারের ঝুঁকিকে শুধু ফৌজদারি অপরাধের বদলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

ক্ষতিকারক সাইবার কার্যক্রমে বাধা দেওয়া ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য, নতুন কৌশলে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে আরও অনেক বেশি দৃঢ় ও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর ভিত্তি তৈরি করা হয়েছে।আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সামরিক কর্তৃপক্ষকেও কঠোর প্রতিক্রিয়া দেখানোর ভিত্তি দিয়েছ এই কৌশল।

এছাড়া, এই কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার কর্মী, অবকাঠামো ও ডিজিটাল বাস্তুতন্ত্রের উন্নয়ন, জাতীয় সহনশীলতার উন্নয়নে, উপযুক্ত প্রযুক্তির ব্যবহার শনাক্ত করা ও অর্থনীতির প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা গঠনে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সূত্র: ভয়েস অব আমেরিকা 

এসবি/ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি