ঢাকা, বুধবার   ১৬ অক্টোবর ২০২৪

চীনে জন্মহার কম, তৃতীয় সন্তান হলে বিনামূল্যে শিক্ষার সুযোগ 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৪৬, ২৪ মার্চ ২০২৩

কোনো দম্পতি তৃতীয় সন্তান নিলে সেই সন্তানকে বিনামূল্যে উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে চীনের একটি শহরের স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ওয়েফাং শহরে এমনই বিতর্কিত কিছু সুযোগ সুবিধা চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। জন্মহার রেকর্ড কম হওয়ায় তা বাড়াতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

এর আগে ২০১৬ সালের জানুয়ারি এক সন্তান নীতি থেকে বেরিয়ে আসে চীন। এরপর ২০২১ সালের মে মাসে দেশটির জন্মহার ক্রমশ কমতে থাকায় তিন সন্তান নীতি চালু করে। এর ফলে দেশটির অর্থনীতিতে আগামী কয়েক দশকে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের। 

গত মঙ্গলবার শানডং প্রদেশের ওয়েফাং শহর কর্তৃপক্ষ একটি নীতি ঘোষণা করে। নীতিতে বলা হয়, শহরটিতে বসবাসরত কোনো দম্পতির যদি তৃতীয় সন্তান হয়, তবে তার জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে কোনো টিউশন ফি দিতে হবে না। গত বছরের মে মাসের ৩১ তারিখের পর জন্ম নেওয়া শিশু এই সুবিধা পাবে। তবে কেউ কেউ বলছেন, এই সুবিধা শিক্ষার সমতা নষ্ট করবে।  

চীনে বিনামূল্যে ৯ বছর পর্যন্ত শিক্ষা বাধ্যতামূলক। এরপর উচ্চ বিদ্যালয় পর্যায়ে তিন বছর টিউশন ফি দিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।
এদিকে জন্মহার বাড়াতে ওয়েফাং শহর কর্তৃপক্ষের ঘোষিত বিভিন্ন সুবিধার মধ্যে রয়েছে—তৃতীয় সন্তানের জন্মের তিন বছর বয়স পর্যন্ত বড় ধরনের রোগবালাইয়ের ক্ষেত্রে বিনামূল্যে ইনসুরেন্স সুবিধা, বাবা-মায়ের দীর্ঘ ছুটি এবং সম্পত্তি ক্রয়ে সরকারের ভর্তুকি। চীনজুড়ে স্থানীয় সরকারগুলো যখন একের অধিক সন্তান আছে এমন দম্পতিদের জন্য অগ্রাধিকারমূলক নীতি চালু করেছে তখন ওয়েফাং শহর কর্তৃপক্ষ এসব সুবিধা চালু করল। 

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ছয় দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে গত বছর প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে। ২০২১ সালে যে জনসংখ্যা ছিল তার থেকে গত বছর ৮,৫০,০০০ জন কমেছে। এ ছাড়া জন্মহারও রেকর্ড সংখ্যক কমে গেছে। গত বছর প্রতি ১০০০ জনে জন্মহার মাত্র ৬ দশমিক ৭৭ ছিল, যা ১৯৪৯ সালে পিপলস রিপাবলিক অব চীনের প্রতিষ্ঠার পর সর্বনিম্ন জন্মহার।
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি