এমপক্সকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা
প্রকাশিত : ১২:১৮, ১৬ আগস্ট ২০২৪
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বুধবার এক বৈঠকে এমপক্স-কে জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। বলা হয়েছে, এটি আন্তর্জাতিক উদ্বেগের বিষয়।
আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (এসিডিসিপি) এই রোগকে আফ্রিকা মহাদেশের জন্য জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা বলে চিহ্নিত করার একদিন পর এই বৈঠক হয়। উল্লেখ্য, এই মহাদেশে গত বছরের তুলনায় ১৬০ শতাংশ এই রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মৃতের সংখ্যা ১৯ শতাংশ বেড়েছে। এই প্রথম মহাদেশজোড়া জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
হু’র ঘোষণা এই রোগ নিয়ন্ত্রণে তহবিল সংগ্রহ ও এর প্রয়োগ, বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্যগত পদক্ষেপ ও যৌথ প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে গতি আনার প্রক্রিয়াকে সহজ করে দেবে। এই রোগ নিয়ে গবেষণা বৃদ্ধিতেও এটি সাহায্য করবে।
এমপক্সের দুটি প্রধান রূপ ক্লেড ওয়ান এবং ক্লেড টু নামে পরিচিত। ২০২২ সালে সারা বিশ্বে এই রোগের আরও একটি মৃদু রূপ ক্লেড টু বি-র প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল যাকে হু জনস্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা বলে ঘোষণা করেছিল।
হু প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেয়াস বুধবার তার সূচনা ভাষণে এই নতুন প্রাদুর্ভাব নিয়ে কথা বলেছেন।
চলতি বছরের শুরুতে বিজ্ঞানীরা এমপক্সের একটি রূপের সন্ধান পেয়েছিলেন বলে কথিত। মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের কারণে এই সংক্রামক রোগ হয়। এই ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে ১০ শতাংশ পর্যন্ত মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। এমপক্সের নতুন রূপের উপসর্গ ২০২২ সালের প্রাদুর্ভাবের চেয়ে হালকা ও মৃদু।
এমপক্সের উপসর্গগুলির মধ্যে রয়েছে বুক, যৌনাঙ্গ, হাত ও পায়ে ক্ষত, জ্বর এবং পেশীতে ব্যথা।
হু কর্মকর্তারা এমপক্সের বিস্তার রোধে সহায়তা করার জন্য জরুরি অবস্থার জন্য ব্যবহৃত তাদের ‘কন্টিনজেন্সি ফান্ড’ থেকে ১৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার দিয়েছেন এবং ঘোষণা করেছেন যে, আগামী দিনে আরও অর্থ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গোতে (ডিআরসি) এমপক্সে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ৭০ শতাংশের বেশি শিশু এবং সে দেশের গড় মৃত্যুর ৮৫ শতাংশ হচ্ছে এই রোগের কারণে। সেভ দ্য চিলড্রেন সংস্থার ডিআরসি প্রধান গ্রেগ র্যাম উল্লেখ করেছেন, তাদের সংস্থা উদ্বিগ্ন যে, এই রোগ শরণার্থী শিবিরগুলিতে দ্রুত ও অনায়াসে ছড়িয়ে পড়বে।
হু বিশেষজ্ঞরা এমপক্সের দুটি টিকার সুপারিশ করেছেন, তবে আর্থিক বাধা ও সরবরাহের সীমাবদ্ধতা এখনও একটা সমস্যা।
সূত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা
এসবি/
আরও পড়ুন