ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

জাপানে আঘাত হানছে শক্তিশালী টাইফুন ‘শানশান’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২০, ২৮ আগস্ট ২০২৪

জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানতে যাচ্ছে শক্তিশালী ঝড় শানশান। বুধবার (২৮ আগস্ট) অঞ্চলটিতে জরুরি অবস্থা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। ইতোমধ্যে ওই অঞ্চলের বেশকিছু বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া টয়োটাসহ বড় বড় কম্পানিগুলোর কারখানাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

রয়টার্স বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শক্তিশালী এ টাইফুন ঘণ্টায় ১৫৭ মাইল বেগে ঝড়ো হাওয়া নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমের প্রধান দ্বীপ কিউশুর দিকে ধেয়ে আসছে। তাই বিমান সংস্থা ও রেল অপারেটররা আগামী কয়েক দিনের জন্য কিছু পরিষেবা বাতিল করেছে।

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা এক জরুরি সতর্কতা বার্তায় উল্লেখ করে, টাইফুন শানশানের ফলে বন্যা, ভূমিধস ও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে পারে।

এটি বেশ কিছু বাড়িঘরও ধ্বংস করতে পারে।

সংস্থার প্রধান আবহাওয়াবিদ সাতোশি সুগিমোটো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যে ধরনের শক্তিশালী বাতাস, উচ্চ ঢেউ ও জোয়ারের পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে, তা অতীতে কখনো দেখা যায়নি। তাই সর্বোচ্চ সতর্কতা প্রয়োজন।

গণমাধ্যমের তথ্য মতে, কয়েক দিনের মধ্যে কিউশুতে আঘাত করবে ঘূর্নিঝড়টি।

পরে রাজধানী টোকিওসহ কেন্দ্র ও পূর্বাঞ্চলের দিকে এগিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই এলাকাগুলোর কাছাকাছি পৌঁছাতে সপ্তাহের মতো লাগতে পারে বলে আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে।
কাগোশিমা প্রিফেকচারের দক্ষিণ কিউশু, মধ্য জাপানের আইচি ও শিজুওকা প্রিফেকচারের ৮ লাখ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
 
এনএইচকে পাবলিক ব্রডকাস্টারের তথ্য অনুযায়ী, আইচি প্রিফেকচারে ভারী বৃষ্টির সময় ভূমিধসে একটি বাড়ি ধসে পড়ার পর তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। দ্বীপটিতে টয়োটার সদর দপ্তর অবস্থিত।

টয়োটা ঘোষণা করেছে যে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জাপানের ১৪টি কারখানার সবকটিতে উৎপাদন স্থগিত রাখবে তারা। নিসান জানিয়েছে যে তারা বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে তাদের কিউশু কারখানার কার্যক্রম স্থগিত রাখবে এবং হোন্ডা দক্ষিণ-পশ্চিম কিউশুর কুমামোতোতে তাদের কারখানাটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখবে।
 
টাইফুন শানশান জাপানে আঘাত হানা ঘূর্নিঝড়গুলোর বড় একটি হতে যাচ্ছে। এর আগে গত সপ্তাহে টাইফুন অ্যাম্পিল আঘাত করে দেশটিতে। ওই টাইফুনের ফলে বিদ্যুৎবিভ্রাট দেখা দিয়েছিল এবং বাসিন্দাদের সরিয়েও নিতে হয়েছিল।

এএনএ হোল্ডিংস জানিয়েছে যে তারা বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের নির্ধারিত ২১০টিরও বেশি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করবে। এসব ফ্লাইটে প্রায় ১৮,৪০০ যাত্রী রয়েছেন।

জাপান এয়ারলাইনস জানিয়েছে যে তারা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৭০টি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করবে। উভয় এয়ারলাইনসের মোট ১০টি আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও স্থগিত করা হবে।
কেআই//
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি