প্রথমবার বিতর্কে হ্যারিস-ট্রাম্প, কে কাকে দেবেন টেক্কা
প্রকাশিত : ১১:২৪, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১১:৩৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো বিতর্কে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। এই বিতর্ক নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।
গুরুত্বপূর্ণ এক টেলিভিশন বিতর্কে উভয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে। এবিসির আয়োজনে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়া শহরে।
এটি উভয়ের মধ্যে প্রথম এবং সম্ভবত শেষ টেলিভিশন বিতর্ক হতে যাচ্ছে।
ট্রাম্পকে আক্রমণের কৌশল সাজানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন কমলা হ্যারিস। তিনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে বৈঠক করেছেন। কমলার সঙ্গে বিতর্কের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রাম্পও। এ নিয়ে তিনি নিজের প্রচার দল ও ঘনিষ্ঠ মহলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে জুনে ট্রাম্পের সাথে টেলিভিশন বিতর্কে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিপর্যয়ের পর তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহারে বাধ্য হন। ডেমোক্রেট দলের কনভেনশনে প্রার্থী হিসেবে তিনি কমলা হ্যারিসকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এদিকে লাখ লাখ আমেরিকান সামনের কাতারে থেকেই নির্বাচনী লড়াইয়ে মরিয়া উভয়প্রার্থীর ঝুঁকিপূর্ণ এই বিতর্ক প্রত্যক্ষ করবেন। এই বিতর্ককে উভয় প্রার্থীর জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল পরীক্ষা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
আমেরিকার নারী, কৃষাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে (৫৯) নিয়ে বিরোধী প্রার্থী ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য থেমে নেই। বিতর্কের আগে জাতীয় জরিপে জনসমর্থনে ট্রাম্পের চেয়ে কমলা এগিয়ে থাকলেও ট্রাম্প তাকে খাটো করে দেখানোর জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে বিতর্কেও ট্রাম্প তার আক্রমণাত্মক ভঙ্গি তুলে ধরবেন বলে বিশ্লেষকেরা মনে করছেন। কারণ কমলা হ্যারিস নির্বাচনী লড়াইয়ের মাঠে প্রবেশের কারণে ট্রাম্প (৭৮) হয়ে পড়েছেন মার্কিন নির্বাচনী ইতিহাসের সবচেয়ে প্রবীণ প্রার্থী।
রুটজার্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব কমিউনিকেশন এন্ড ইনফরমেশনের এরিন ক্রিস্টি বলেছেন, “এই ধরনের একেবারে ভিন্ন ধরনের দুই প্রার্থী এর আগে কখনও মুখোমুখি হননি।”
তিনি বলেন, তাই এই বিতর্ক হবে খুবই আকর্ষণীয় ও সচেতনতামূলক এবং নির্বাচনে জয়-পরাজয় নির্ধারণকারী।
হ্যারিস ও ট্রাম্পের মধ্যে মঙ্গলবারের এ বিতর্কই হতে পারে শেষ বিতর্ক। কারণ এখনও পর্যন্ত উভয়ের কেউই নতুন বিতর্কের বিষয়ে সম্মতি দেয়নি।
এদিকে বিতর্কের মঞ্চে সত্যিকার অর্থে কি মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে তা নিবিড়ভাবে প্রত্যক্ষ করতে অপেক্ষা করছে লাখ লাখ আমেরিকান।
এএইচ
আরও পড়ুন