ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা চান শলৎস
প্রকাশিত : ১৮:৫১, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ইউক্রেন সংক্রান্ত পরবর্তী শান্তি সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষে প্রস্তাব করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস৷ চলতি বছরেই এমন সম্মেলন আয়োজন করতে চায় ইউক্রেন৷
সাম্প্রতিক দুই আঞ্চলিক নির্বাচনে জার্মানির জোট সরকারের তিন শরিক দলের শোচনীয় ফলাফলের পেছনে ইউক্রেন যুদ্ধে জার্মানির ভূমিকা সম্পর্কে অনেক মানুষের ক্ষোভও অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ আক্রান্ত দেশ হিসেবে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তার পাশাপাশি ওলাফ শলৎসের সরকার যথেষ্ট কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তির কোনো প্রচেষ্টা চালাচ্ছে না বলে অভিযোগ দানা বাঁধছে৷ বিশেষ করে মস্কোর অবস্থানের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চরম দক্ষিণপন্থি এএফডি দল ও বাম-রক্ষণশীল বিএসডাব্লিউ দল মানুষের মনে সেই মনোভাবের ফায়দা তুলে নির্বাচনে ভালো ফল করেছে৷ এমনকি শলৎসের এসপিডি দলের একাংশও আরো কূটনৈতিক তৎপরতার প্রত্যাশা করছে৷
এমন প্রেক্ষাপটে চ্যান্সেলর শলৎস শান্তিপূর্ণ পথে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷ রোববার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি ও তিনি পরবর্তী শান্তি সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষে৷ উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে গত ১৫ ও ১৬ই জুন সুইজারল্যান্ডে আয়োজিত শান্তি সম্মেলনে ৭৮টি দেশ অংশ নিয়েছিল৷ তারা ইউক্রেনের ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন জানালেও সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ সম্পর্কে কোনো ঐকমত্যে আসেনি৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেই সম্মেলনে দশ দফা শান্তির ফর্মুলা পেশ করেছিলেন, যার আওতায় ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সব সেনা তাড়িয়ে দিতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে হবে৷ সেই সম্মেলনে রাশিয়াকেও আমন্ত্রণ জানানো হয় নি৷ চলতি বছরই দ্বিতীয় শান্তি সম্মেলন আয়োজনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে ইউক্রেন৷ জুলাই মাসের শেষে জেলেনস্কি ‘অর্থবহ ফলাফল' সম্ভব করতে সেই সম্মেলনে রাশিয়ার অংশগ্রহণের পক্ষে সওয়াল করেছেন৷
জার্মানির জেডডিএফ টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে চ্যান্সেলর শলৎস বলেন, তাঁর মতে, এই মুহূর্তে যুদ্ধের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে আলোচনার সময় এসে গেছে৷ যদিও বর্তমান ঘটনাপ্রবাহ সে দিকে ইঙ্গিত করছে না, তা সত্ত্বেও শলৎস এমনটা মনে করেন৷ তিনি বলেন, অবশ্যই আর একটি শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ জেলেনস্কি ও তিনি সেখানে রাশিয়ার উপস্থিতি চান৷
বর্তমানে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি৷ চ্যান্সেলর শলৎস যতকাল প্রয়োজন, ততকাল ধরে ইউক্রেনের জন্য মদত চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন৷
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
এসবি/
আরও পড়ুন