ঢাকা, বুধবার   ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রাম রহিমের ডেরা থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে আসেন ধর্ষিতা হানিপ্রীত!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:১৫, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৬:৪০, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

ভারতের কথিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং শুরুর দিকে তাঁর পালিত কন্যা হানিপ্রীতকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাম রহিমের সার্বক্ষণিক সহযোগী হওয়ার আগে হানিপ্রীত তাঁর ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। রাম রহিমের সাবেক গাড়িচালক খাট্টা সিং ও তাঁর ছেলে গুরদাস সিং এই দাবি করেছেন। খবর ইন্ডিয়া টুডের।


খাট্টা সিং ও গুরদাস সিং বলেন, তাঁরা হানিপ্রীতকে রাম রহিমের গোপন গুহায় ঢুকতে দেখেছিলেন। পরে তাঁকে গুহা থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যেতে দেখেছেন। বিশেষ বিশেষ দিনে গুরদাস ও তাঁর চাচাতো ভাই রাম রহিমের গোপন গুহা পাহারা দিতেন। হানিপ্রীত প্রথমবারের মতো গুহায় ঢোকার সময়ও তাঁরা পাহারায় ছিলেন।


গুরদাস সিং বলেন, রাম রহিমের গোপন গুহা থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে আসার পর হানিপ্রীত তাঁর দাদুকে এই অভিযোগ করেছিলেন। হানির দাদু হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় হিসাবরক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন। অভিযোগ শুনে তিনি খুব ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু রাম রহিম ও তাঁর গুন্ডাদের ভয়ে তিনি কোনো প্রতিবাদ করেননি।


এদিকে রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই পলাতক হানিপ্রীত আগাম জামিন নিতে দিল্লি হাইকোর্টে গতকাল সোমবার আবেদন করেছেন। আজ ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তালের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বিষয়টি শুনানি হবে।


খাট্টা সিং ও গুরদাস সিংয়ের দাবি, দুই অনুসারীকে ধর্ষণের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত রাম রহিম হানিপ্রীতের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটিয়েছেন। পরে এই ঘটনা নিয়ে রাম রহিমের সঙ্গে প্রতারণা করে হানি ধীরে ধীরে বাবার প্রিয়ভাজন হয়ে ওঠেন।


এর আগে রাম রহিম সিংয়ের কাছে হানিপ্রীত সন্তান চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন গুরদাস সিং তুর নামে রাম রহিমের এক অনুসারী। তিনি বলেন, অনাগত সন্তানকে ডেরা সচ সউদার ভবিষ্যৎ উত্তরাধিকারী বানাতে চেয়েছিলেন হানিপ্রীত।


এর আগে গত শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত দাবি করেন, পালিত কন্যা হলেও হানিপ্রীতের সঙ্গে রাম রহিমের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তিনি আরও বলেন, ডেরার ভেতর রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতকে নগ্ন অবস্থায় দেখা গেছে।


গুরুদাসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্তকে আনুষ্ঠানিকভাবে অনাগত সন্তানের বাবা হিসেবে দেখানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের আগেই তা ভেস্তে যায়। কারণ হানিপ্রীতের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান বিশ্বাস গুপ্ত।


এর আগে ডেরায় থাকা কমপক্ষে দুই হাজার নারীকে রাম রহিম ধর্ষণ করেছেন বলে জানিয়েছিলেন এক সাধ্বী। রাম রহিম কারাগারে যাওয়ার পর থেকে হরিয়ানায় সিরসার ডেরায় নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সেখানে অভিযানের শুরুর দিকে বিপুল পরিমাণ কনডম ও জন্মনিরোধক ওষুধ জব্দ করা হয়। ডেরার ভেতর সাধ্বী হোস্টেলে রাম রহিমের সরাসরি যাতায়াত ছিল। ওই যাতায়াতের জন্যই দুটি গোপন সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল। এ ছাড়া ডেরায় পানির নিচে গোপন ‘সেক্স কেভ’ বা ‘যৌন গুহার’ সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ডেরার প্রাসাদ চত্বরে যে সুইমিং পুল রয়েছে, তার নিচেই ওই ‘যৌন গুহা’ গড়ে তুলেছিলেন ডেরাপ্রধান রাম রহিম। গোপন গুহায় নারীদের নিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালাতেন তিনি।
সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে।
//এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি