বাবার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের খবর মিথ্যা : হানিপ্রীত
প্রকাশিত : ১৫:০৪, ৩ অক্টোবর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৩০, ৫ অক্টোবর ২০১৭
ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিতর্কিত ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিংয়ের কথিত পালিত কন্যা হানিপ্রীত ইনসান অবশেষে মুখ খোলেছেন। প্রায় দেড় মাস গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার গোপন ডেরা থেকে এনডিটিভিসহ ভারতীয় দু’টি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে পারেন বলেও জানান হানিপ্রীত।
ওই সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে তোলা সব অভিযোগ মিথ্য। এমনকি রাম রহিমের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা রটনা চলছে। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে কেঁদেও ফেলেন ডেরা সচ্চা সওদায় রাম রহিমের পরের ক্ষমতাধর এই নারী।
রাম রহিমের সঙ্গে তার `অবৈধ সম্পর্ক` নিয়ে যাবতীয় খবরকে মনগড়া গল্প দাবি করে হানিপ্রীত পাল্টা প্রশ্ন করেন, ‘একজন বাবা কি তার মেয়ের মাথায় হাত রাখতে পারে না, সব আবেগ কি শেষ হয়ে গেছে? একজন বাবার কাছে তার মেয়ে তো আদরেরই হয়।’ তাদের `পবিত্র সম্পর্কে` কালিমা লেপন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন হানিপ্রীত।
সাক্ষাৎকারে রাম রহিমের মুক্তির জন্য হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন বলে জানান হানিপ্রীত। তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমার বাবা নির্দোষ প্রমাণিত হবেন।’
এদিকে, ২৫ আগস্ট রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর থেকে হানিপ্রীতকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানায় পুলিশ। এর জবাব দিয়ে গিয়ে সিএনএন নিউজ ১৮-কে হানিপ্রীত বলেন, ‘আমি বাসায় ছিলাম… আমি এ বিষয়ে জানতামও না। বাবার জন্য আমরা কান্নাকাটি করছিলাম। আমরা অনেক ভয় পেয়েছিলাম।’
‘বাবা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তিনি কি এমন কিছু করতে পারেন?’, যোগ করেন হানিপ্রীত।
রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর হানিপ্রীতের সাবেক স্বামী বিশ্বাস গুপ্ত অভিযোগ করেন, রাম রহিমের সঙ্গে হানিপ্রীতের শারীরিক সম্পর্ক ছিল। চোখের সামনের তিনি বাবা ও হানিপ্রীতকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন। এ খবর ফাঁস না করতে তাঁকে হত্যার হুমকিও দেন রাম রহিম।
হানিপ্রীতের ইনসানের আগে নাম ছিল প্রিয়াঙ্কা তানিজা। রাম রহিম তাঁকে পালিত কন্যা হিসেবে পরিচিতি দেন। এরপরই তাঁর নাম পরিবর্তন করা হয়। রাম রহিমের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন হানিপ্রীত। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁদের একসঙ্গে দেখা যেত। কথিত বাবার সঙ্গে একাধিক ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
২৫ আগস্ট রাম রহিমকে তাঁর ডেরা সাচা সৌদার দুই সাধ্বীকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে ২০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইর বিশেষ আদালত। বর্তমানে তিনি হরিয়ানা রাজ্যের রোহতাক জেলার সোনারিয়া কারাগারে বন্দি আছেন।
সূত্র: এনডিটিভি।
আরও পড়ুন