ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

উত্তর কোরিয়া  ইস্যূতে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, যেকোনো ধরণের সামরিক হামলা ধ্বংসাত্মক ও অভাবনীয় পরিণতি ডেকে নিয়ে আসবে।

শুক্রবার নিরাপত্তা কাউন্সিলে দেওয়া ভাষণে জাতিসংঘ প্রধান এ কথা বলেন। এসময় নিরাপত্তা পরিষদের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার এক কূটনীতিকও তার দেশের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন।  

জাতিসংঘ দেওয়া ভাষণে গুতেরেস বলেন, উত্তর কোরিয়ার বর্তমান অবস্থান বিশ্বের শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। আমি এই ধরণের পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ জানাচ্ছি। আমরা কল্পনাও করতে পারবো না, সামরিক যুদ্ধ বাঁধলে কি পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে।

এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের সবাই যুদ্ধ এড়িয়ে চলার পক্ষে মত দিয়েছেন। তাঁদের ধারণা উত্তেজনা মূলক বক্তৃতা আর যোগাযোগ ‘গ্যাপের’ কারণে উভয় পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে।

এসময় তিনি বলেন,  উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের সব মাধ্যমগুলোকে কাজে লাগানোর এটাই শেষ সময়। বিশেষ করে কূটনীতিক শক্তির সঙ্গে কূটনীতিক শক্তির, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ বাড়ানোর উপর জোর দেন তিনি। তবে এই অঞ্চলে উদ্বেগ-উৎকণ্টা কমানো সহজ হবে না বলেও তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এসময় গুতেরেস বলেন, ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কূটনৈতিক সংযোগ-ই একমাত্র পথ । মনে রাখতে হবে আমরা সবকিছুই করতে পারি, তবে এর পরিণতির কথা চিন্তা করে আমাদের এগোতে হবে।

গুতেরেস বলেন, ২০০৭ সাল থেকে ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিকান অব কোরিয়া (ডিপিআরকে) পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, যা বিশ্বের জন্য মারাত্মক হুমকি। ২০০৭ সালে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের রিসোলেশন ২৩৭৫ অনুসারে ডিপিআরকে’র উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

এসময় তিনি বলেন, আমি ডিপিআরকের (উত্তর কোরিয়া) নেতৃবৃন্দকে বলছি, নিরাপত্তা কাউন্সিলের নেওয়া যুক্তিসংগত নীতির প্রতি সম্মান দেখান । একইসঙ্গে কোরিয়ায় স্থায়ী শান্তি ফিরিয়ে আনতে আলোচনা শুরুর পথ খুলে দিন। 

তবে শুক্রবারের সভায় উত্তর কোরিয়ার একজন কূটনীতিক দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সমৃদ্ধকরণ কেবল নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্যই তাঁরা ব্যবহার করবে। নিজের নিরাপত্তার জন্য পরমাণু অস্ত্রের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিক জে সং নাম বলেন, “আমাদের পরমাণু অস্ত্রের জন্য কেউ যদি আমাদের দোষারোপ করে, তাহলে সবার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।

সূত্র: জিনহুয়া

এমজে/ এআর

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি