জেরুজালেম ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো
প্রকাশিত : ১১:০৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১২:২৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার ও ওই শহরে মার্কিন দূতাবাস স্থাপনের পরিকল্পনার বিরোধিতা করে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এক খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিলো। সে খসড়া প্রস্তাবে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলেও নিরাপত্তা পরিষদের বাকি ১৪ দেশ এই প্রস্তাবকে সমর্থন জানিয়েছে।
নিরাপত্তা পরিষদে এ খসড়া প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলো মিশর। প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো, জেরুজালেমের মর্যাদা প্রসঙ্গে যেকোনও সিদ্ধান্তের ‘কোনও আইনি ভিত্তি নেই, এ সিদ্ধান্ত অকার্যর এবং একে প্রতিহত করতে হবে’। ট্রাম্পের ঘোষণার বিরোধিতা থেকে প্রস্তাবটি উত্থাপন করা হলেও এতে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্র বা ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
জাতিসংঘে মার্কিন স্থায়ী প্রতিনিধি নিক্কি হ্যালে বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে আজ যা দেখলাম, তা স্পষ্টতই অপমান। আমরা এটা ভুলে যাবো না। ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে জাতিসংঘ যে ভালোর চেয়ে খারাপটাই বেশি করছে, এটি আরেকটি প্রমাণ। দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো সরল একটি ঘটনার জন্য আজ যুক্তরাষ্ট্রকে নিজেদের সার্বভৌমত্বের ক্ষমতা দেখাতে হলো।
নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করার বিষয়ে নিক্কি হ্যালে বলেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে এই ভেটো প্রয়োগ করিনি। তবে এটা করতে গিয়ে আমরা দ্বিধাতেও পরিনি। নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে এই ভেটো প্রয়োগ করেছি। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রক্রিয়ায় আমাদের ভূমিকার সপক্ষে এই ভেটো। এই ভূমিকার জন্য আমরা কখনই বিব্রত নই।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার পরই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলো বিভিন্ন দেশ। নিরাপত্তা পরিষদে উত্থাপিত এ প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্র ভেটো দিলেও মার্কিন মিত্রদেশগুলোসহ পরিষদের বাকি ১৪টি দেশই এতে সমর্থন দিয়েছে। এ থেকে এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র আরও বেশি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান
/এমআর
আরও পড়ুন