পর্নগ্রাফির অভিযোগে ব্রিটিশ উপপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
প্রকাশিত : ১০:৪১, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:৫২, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭
ব্রিটেনের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন উপপ্রধানমন্ত্রী ডেমিয়ান গ্রিন। তিনি প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সবচেয়ে কাছের বলে পরিচিত ছিলেন। গ্রিনের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ উঠায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগের অনুরোধ করেন।
গ্রিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৮ সালে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে তার কার্যালয়ের কম্পিউটারে পর্নগ্রাফি পাওয়া যায়। সেটি নিয়ে তিনি সঠিক বিবৃতি না দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। তার দায়িত্বহীন আচরণের অভিযোগ নিয়ে প্রাথমিক একটি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।
গ্রিন ওই অভিযোগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এজন্য পদত্যাগপত্রে তিনি ক্ষমাও চেয়েছেন। তবে কম্পিউটারে পর্নগ্রাফি ডাউনলোড করা কিংবা দেখার অভিযোগ গ্রিন বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন। বলেছেন, এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।
ডেমিয়ান গ্রিন ছিলেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একজন এবং সবচেয়ে ঊর্ধ্বতন মন্ত্রী। দলের বিভক্তি সামলে দলকে একতবদ্ধ রাখায় সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। গত দুই মাসে ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা থেকে এ নিয়ে তিনজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী পদত্যাগ করলেন। এর আগে পদত্যাগ করেন মাইকেল ফ্যালন ও প্রিতি ফ্যালন। এরা তিনজনই প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
ব্রেক্সিট আলোচনার এ শেষ সময়ে এসে গ্রিনের পদত্যাগ মে’র জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবেই দেখছেন বিশ্লেষকরা।
গ্রিনের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্তে দেখা গেছে, কম্পিউটারে পর্ন ছবি পাওয়া যাওয়ার বিষয়টি গ্রিন জানতেন না বলে যে বিবৃতি দিয়েছিলেন তা সঠিক ছিল না। এরপরই প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করার অনুরোধ জানান। তার বিদায়ে গভীর দুঃখ প্রকাশ করে একটি লিখিত বিবৃতিও দেন মে।
সূত্র : বিবিসি।
/ এআর /
আরও পড়ুন