ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ভারতে আরেক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:০৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৫:০৯, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ভারতে আরও এক ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। কথিত এ ‘বাবা’র আশ্রম থেকে পাওয়া গেছে ৩৩জন দেশী-বিদেশী নারী।

ভারতের আগ্রায় স্বঘোষিত ‘ঈশ্বরের দূত’ ভিরেন্দ্র দেব ডিক্সিট এর আস্তানা থেকে এসব নারীকে গতকাল শনিবার উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশ। কথিত এ বাবার প্রতিষ্ঠান আধ্যাত্মিক ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন দু’টি আশ্রম থেকে এসব নারীদের সঙ্গে আরও উদ্ধার করা হয় ১২জন পুরুষকেও। উদ্ধারকৃতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

আশ্রমের গোপন কুঠুরি থেকে উদ্ধার করা হয় এসব নারী ও পুরুষদের। স্থানীয় পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানান, আশ্রমের চৌধুরাইন কলোনী এবং সিকাতারবাগের শাখায় একযোগে সকাল ৭টায় এ অভিযান শুরু হয়। আশ্রমের সেবিকারা প্রথমে আমাদেরকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়নি। পরে চাপের মুখে তারা আশ্রমের দরজা খুলে দেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া আরও জানায়, সিকাতারবাগের ৩ তলা ভবন আশ্রমের বেজমেন্টে খুবই ছোট ছোট অন্তত ১২টি গোপন কুঠুরি পাওয়া যায়। এসব কুঠুরিতে যাবার সংযোগ গলি এত সরু যে, কোথাও হাটূ গেড়ে অথবা কোথাও ঝুঁকে হেটে যেতে হয়। খুবই ছোট ছোট কক্ষগুলোর দরজা ভারী লোহার দরকার দিয়ে আটকানো। কক্ষের ভেতরে আলো প্রবেশের জন্য উচু দেয়ালের ওপরের দিকে ছোট একটি জানালা আছে। তাও ভারী লোহার শিক দিয়ে মোড়া। ভুতুড়ে এসব কক্ষে নারীদেরকে পাতলা ম্যটের ওপর মেঝেতেই থাকতে হত”।

উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ভারতের মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং নেপালের নারীরা আছেন। ২৫ বছর বয়সী সংগীতা নামের উদ্ধার হওয়া এক নারী গণমাধ্যমকে জানান, পাঁচ বছর আগে আমার বাবা-মা আমাকে এখানে রেখে যান। আর তার পর থেকেই আমি এখানে ধর্মীয় শিক্ষা নিচ্ছি। তবে কোনো ধরনের যৌন নিগ্রহের স্বীকার হচ্ছেন কী না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান এই নারী।

উল্লেখ্য, ভারতে এর আগেও ধর্মগুরুদের নারী ঘটিত কেলেঙ্কারির ঘটনা জানা যায়। সম্প্রতি নিজ আশ্রমে নারী সেবিকাদের ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাজীবন ভোগ করছেন ‘বাবা’ গুরমিত রাম রহিম।

সূত্রঃ টাইমস অব ইন্ডিয়া

//এস এইচ এস// এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি