রুশ প্যাটার্নেই উত্তর কোরিয়ার মিসাইল!
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৯:২৪, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭
একের পর এক ক্ষেপনাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়ে বিশ্বের কাছে এক আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে উত্তর কোরিয়া। বিশেষ করে ‘শত্রু’ রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের চোখের ঘুম হারাম করে দিয়েছে পিইংইয়ং। উত্তর কোরিয়ার একের পর এক সফল ক্ষেপনাস্ত্রের পেছনে কারা কাজ করছে এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। তবে এরই মধ্যে জানা গেল রাশিয়ার তৈরি করা প্যাটার্নেই ক্ষেপনাস্ত্র তৈরি করছে উত্তর কোরিয়া।
শুধু তাই নয়, ক্ষেপনাস্ত্র বানাতে ব্যবহৃত হচ্ছে রাশিয়ার প্রযুক্তি। সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙ্গনের পরই দেশটির কাছে বেশ কিছু প্রযুক্তি ব্রিক্রি করে রাশিয়া। আর এর মাধ্যমেই উত্তর কোরিয়া ক্রমান্বয়ে পারমাণবিক শক্তিধর হয়ে ওঠে।
গত ২৯ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন ঘোষণা করেন, দেশটিতের তৈরি ক্ষেপনাস্ত্র বিশ্বের যে কোন জায়গায় আঘাত হানতে সক্ষম। এমনকি দূরবর্তী যুক্তরাষ্ট্রেও আঘাত হানতে পারবে তাদের ক্ষেপনাস্ত্র। এরপরই নড়েচড়ে বসে মার্কিনিরা।
সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার তৈরি হাসং-১০ নামের ক্ষেপনাস্ত্রের গবেষণা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে রাশিয়ার মিসাইল টেকনোলজি দিয়েই উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা বানাচ্ছে। এ ব্যাপারে ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর রাশিয়ার কাছ থেকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তি কিনে নিয়েছিল উত্তর কোরিয়া।
১৯৯২ সালে মস্কো এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয় ৬০জন রাশিয়ান বিজ্ঞানী ও তাদের পরিবারকে। তারা পিয়ংইয়ং-এর দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানা যায়। তবে ৬০ জন বিজ্ঞানীকে আটক করা হলেও আরও অধিক সংখ্যক বিজ্ঞানী উত্তর কোরিয়ায় পাড়ি জমায় সে সময়।
পরবর্তীতে আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা জানায়, এদের মধ্যে কয়েকজন সফলভাবে উত্তর কোরিয়া পৌঁছে গিয়েছিল। তারা মিসাইল ব্লু-প্রিন্ট তুলে দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার হাতে। আর এই নকশাকে কাজে লাগিয়ে উত্তর কোরিয়া একের পর এক পারমাণবিক বোমার সফল পরীক্ষা চালাচ্ছে।
সুত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
এমজে/এমআর
আরও পড়ুন