‘ইইউর সদস্যপদ পাওয়ার দৌড়ে তুরস্ক ক্লান্ত’
প্রকাশিত : ১১:২৬, ৬ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:০৪, ৬ জানুয়ারি ২০১৮
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যপদ পাওয়ার প্রক্রিয়াগত জটিলতায় তুরস্ক ক্লান্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান। এখনও দেশটি ইইউর অন্তর্ভূক্ত হতে পারেনি। খবর বিবিসির।
শুক্রবার প্যারিসে ফরাসি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এরদোগান এসব কথা বলেন। অনেকটা হতাশা ও ক্ষোভ নিয়ে এরদোগান বলেন, আমরা ইইউকে আর বলতে পারব না যে, আমাদের দয়া করে সদস্যপদ দাও। আমাদের দীর্ঘদিন ধরে এই আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এশিয়া ও ইউরোপকে সংযুক্তকারী দেশ তুরস্ক ১৯৮৭ সালে ইউরোপীয় ইকোনমিক কমিউনিটির সদস্যপদ চেয়ে আবেদন করে। দেশটি ১৯৯৭ সালে ইইউর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আবেদন করে। ২০০৫ সাল থেকে সেই আলোচনা শুরু হয়। সাম্প্রতিক সময়গুলোতে সেই আলোচনা অনেকটা গুরুত্ব হারায়। ফলে সদস্যপদ না পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে তুরস্ককে।
এ বিষয়ে ক্ষোভের সঙ্গে এরদোগান বলেন, যখনই আমরা এর কারণ জানতে চাই ইইউ নির্লিপ্ত থাকে। প্রথমত আমাদেরকে ইইউ পলিসির ১৫ ধারার দোহাই দিয়ে নিবৃত্ত রাখার চেষ্টা করে। পরে সেই কঠোরতা আরও বাড়ে। ৩৫ ধারার কথা বলা হয়। ইইউর সদস্য পদ পেতে ইইউ পলিসির ৩৫ তম অধ্যায়ও পূরণ করে তুরস্ক।
এরদোগানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রন বলেন, তুরস্কে ইইউর সদস্য পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক অগ্রগতি মোটেও সন্তোষজনক নয়। তবে ফ্রান্স মনে করে তুরস্কের জনগণ ইইউর সুবিধা ভোগ করার যোগ্যতা রাখে।
তুরস্কে আইনের শাসন বলবৎ দাবি করে এরদোগান বলেন, ইইউ বলে আসছে সদস্যপদ পাওয়ার জন্য বিচারবিভাগ স্বাধীন হতে হবে। তুরস্কের বিচারবিভাগ স্বাধীন। এখানে বিচার বিভাগ স্বাধীন ভাবে রায় দেয়।
পরিপ্রেক্ষিতে ম্যাক্রন বলেন, ইইউর সদস্যপদ পেতে তুরস্কের গণতন্ত্র টেকসই হতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাতকতে হবে যাতে জনগণ নিরাপদ বোধ করে। জবাবে এরদোগান বলেন, তুরস্কের গণতন্ত্র আইনের শাসনকে সম্মান করে।
আরও পড়ুন