‘ইসরায়েল থেকে সুবিধা নেন ট্রাম্প–জামাতা’
প্রকাশিত : ০৯:০৪, ৯ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১০:০৩, ৯ জানুয়ারি ২০১৮
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জেরাড কুশনার মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ট্রাম্পকে পরামর্শ দেন। ফলে ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হওয়ার কথা। কিন্তু ট্রাম্প জমানায় ফিলিস্তিন আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে। আর পদে থেকে ইসরায়েলের কাছ থেকে আর্থিক ও ব্যবসায়িকভাবে লাভবান হচ্ছেন কুশনার ও তার পরিবার বলে অভিযোগ উঠেছে।
ট্রাম্প গত মে মাসে ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন। তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন- মেয়ে ইভাঙ্কা ট্রাম্প ও জামাতা কুশনার। ওই সফরের আগে কুশনারের পরিবারের ব্যবসায় তিন কোটি ডলার বিনিয়োগ করেন ইসরায়েলের অন্যতম বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ম্যানোরা মিভতাছিম। ওই অর্থ যায় কুশনার পরিবারের আবাসন ব্যবসায়।
ট্রাম্পের প্রশাসনে সম্পৃক্ত হওয়ার পর নিজের ব্যবসার অংশ বিক্রি করে দেওয়ার দাবি করছেন কুশনার, কিন্তু পরিবারের ব্যবসায় এখনো তার ভূমিকা আছে বলেই জানা গেছে।
কুশনারের পরিবারের সঙ্গে ইসরায়েলের বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্যিক সম্পর্কের সর্বশেষ প্রকাশিত ঘটনা এটি। এর বাইরের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আছে বলে ধারণা করা হয়।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে কুশনারের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের শান্তিপ্রক্রিয়া বাস্তবায়ন করা। ফলে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তার অতীত বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড এবং বর্তমান ভূমিকা নিয়ে খোঁজখবর রাখছে মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। ইসরায়েলের সঙ্গে তার বাণিজ্যিক যোগাযোগের কথা এখন সুবিদিত। ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হাপোয়ালিম থেকে চার দফায় ঋণ নিয়েছেন কুশনার। ওই ব্যাংকটি এখন অনিয়মের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে অপরাধ তদন্তের আওতায় আছে। এ ছাড়া ইসরায়েলের কয়েকজন শীর্ষ ধনকুবেরের সঙ্গেও লেনদেন আছে ট্রাম্প-জামাতার।
কুশনার পরিবার ফিলিস্তিনের অধিকৃত এলাকায় ইসরায়েলি বসতি নির্মাণের কাজ করা সংগঠনগুলোকে অনুদান দিয়েছে বলে জানা যায়। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির পেছনেও কুশনারের ভূমিকা ছিল বলে মনে করা হয়।
ইসরায়েল থেকে আর্থিক সুবিধা পাওয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে কুশনারের পক্ষাবলম্বন করল হোয়াইট হাউস। সেখানকার এক মুখপাত্র জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, শান্তিপ্রক্রিয়ার অগ্রগতিতে কুশনার যে ভূমিকা রাখছেন তাতে হোয়াইট হাউসের দৃঢ় আস্থা আছে। আর নৈতিকতার বিষয়গুলোকে তিনি কঠোরভাবে অনুসরণ করেন। প্রশাসন কিংবা নিজের ক্ষেত্রে নৈতিকতার বিষয়ে কুশনার কোনো আপস করেন না।
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
এসএইচ/
আরও পড়ুন