অভিবাসীদের প্রতি আরও কঠোর হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন
প্রকাশিত : ১৭:৪২, ১২ জানুয়ারি ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের প্রতি আরও কঠোর হতে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। দেশটিতে থাকা প্রায় দুই লক্ষ অভিবাসীকে আগামী ১ বছরের মধ্যে তাদের দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পাশাপাশি নতুন করে আর কোন অভিবাসী যেন যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে না পারে সেদিকেও প্রশাসনকে কড়া নজর রাখতে বলেছেন।
শুক্রবার অভিবাসী ইস্যুতে দেশটির সিনেটের কয়েকজন আইনপ্রণেতা হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাদের রীতিমত অপমান করেন ট্রাম্প। এদের মধ্যে ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের সিনেটররাও ছিলেন।
অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের পক্ষের আইন প্রণেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কেন এইসব নোংরা দেশ থেকে আমাদের দেশে লোকজন আসবে আর আমরা তাদের জায়গয়া দেব?’
আফ্রিকা মহাদেশের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে হাইতি এবং এল সালভাদরের দিকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলে ডোনাল্ড ট্রাম্প।
গত সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসীদের ‘টেম্পরারি প্রটেক্টেড স্ট্যাটাস’ বা টিপিএস বাতিল করে। যে কারণে অস্থায়ী ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে পারা লাখ লাখ অভিবাসীদের আগামী বছর নাগাদ নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। টিপিএস সুবিধাটি পুনরায় বহালের জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাৎ করতে যান সিনেটের ঐ প্রতিনিধি দল।
এসময় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বদলে নরওয়ের মত দেশ থেকে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাইতির আরও মানুষকে কেন জায়গা দিতে হবে? বরং যারা আছে তাদের বের করে দেন।’
পাশাপাশি অভিবাসীদের জন্য অর্থ খরচ না করে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমানায় এক দশমিক পাঁচ বিলিয়ন ডলার দিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে বলেন সিনেটরদের।
তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এমন বক্তব্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে দেশটির ভেতরে এবং বাইরে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের মুখপাত্র রুপার্ট কলভাইল এ বিষয়ে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এমন কথাবার্তা আশ্চর্যজনক এবং লজ্জাজনক। আমি দুঃখিত তবে এই ‘বর্ণবাদী’র জন্য এর থেকে ভাল শব্দ আমার কাছে নেই।’
সিনেটের ডেমোক্রেটিক দলের আইন প্রণেতা এলিজাহ কামিংস এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘আমি এই বিবৃতির নিন্দা জানাই। আর এমন বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়।’
দেশটিতে থাকা একমাত্র হাইতি-অ্যামেরিকান সিনেট সদস্য মিয়া লাভ ট্রাম্পের এ বক্তব্যকে ‘নির্দয়’ এবং ‘বিভেদমূলক’ বলে মন্তব্য করেন। পাশাপাশি সকলের কাছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘ক্ষমা প্রার্থনা’ করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্রঃ বিবিসি
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন