অভিবাসন প্রশ্নে সিদ্ধান্তে অনড় ট্রাম্প
প্রকাশিত : ০৯:২৩, ২১ জানুয়ারি ২০১৮
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি আর টুইটারে পোস্ট দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে ডেমোক্র্যাট সিনেটরদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়ার আগে অভিবাসন প্রশ্নে কোনও আলোচনা করবে না রিপাবলিকানরা। তবে ১৮-২০ জন সিনেটরের একটি দল রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিনসের কাছে গেছেন সমঝোতার উদ্যোগ নিয়ে। অভিবাসনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনার মধ্য দিয়ে অচলাবস্থা নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। কলিনস তাদের কোনও আশার কথা শোনাতে পারেননি।
হাউস স্পিকার পল রায়ানের সঙ্গে কথা বলেছেন ট্রাম্প। বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছেন সিনেটর মিচ ম্যাককনেলের সঙ্গেও। তারা উদ্দেশ্য ছিল কিভাবে এই সংকটের সমাধান করা যায়। তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারাহ স্যান্ডার্স বলেছেন, শাটডাউন প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কোনও আলোচনায় অংশ নেবেন না ট্রাম্প।
১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাজেট বাড়ানো সংক্রান্ত একটি বিলে সিনেটররা একমত হতে না পারায় শনিবার স্থগিত হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কার্যক্রম। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বিশ্লেষণ থেকে দেখা গেছে, বাজেট নিয়ে সিনেটরদের ভাগ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ অভিবাসন-নীতিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রস্তাবিত পরিবর্তন। যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সামাজিক সুরক্ষায় ওবামা ঘোষিত ‘ড্রিমার কর্মসূচি’ পরিচালনায় বরাদ্দ অর্থ নিয়ে দুই ভাগে ভাগ হয় সিনেট। ওই কর্মসূচির আওতায় যে সাত লাখ তরুণ-তরুণী সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি পেয়েছে, তাদের ব্যাপারে কোনও স্থায়ী সমাধানকে সমঝোতার শর্ত হিসেবে তুলে ধরে ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রতিনিধিরা পুরো বিষয়টিকে সাময়িক সমাধান হিসেবে দেখতেই আগ্রহী। এ নিয়ে রিপাবলিকানদের সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় শেষপর্যন্ত বাজেটের সমঝোতা প্রস্তাব পাশের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম ৬০ ভোটও মেলেনি।
হোয়াইট হাউসের সবশেষ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অচলাবস্থা নিরসনের চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার আগে অভিবাসী ইস্যুতে সমঝোতা করতে নারাজ ট্রাম্প। নিজের টুইটার পোস্টেও ’আমেরিকা ফাস্ট’ লিখে অভিবাসীদের বিষয়ে কঠোরতার আভাস দিয়েছেন তিনি। আরেক টুইটার পোস্টে লিখেছেন, ডেমোক্র্যাটদের অভিবাসী প্রীতি’র কাছে তাদের সেনাবাহিনী জিম্মি হয়ে আছে।
ট্রাম্প নিজ অবস্থানে কঠোর থাকলেও রিপাবলিকান সিনেটর সুসান কলিনসের সঙ্গে তার অফিসে দেখা করতে গিয়েছেন সমঝোতায় উদ্যোগী একটি সিনেট দল। ডেমোক্রেটিক সিনেটর জো মানচিন বলেন, আলোচনার পর বিষয়টি প্রেসিডেন্ট এর কাছে পেশ করা হবে। মানচিন আলোচনার বিষয়বস্তু স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি জানিয়েছেন, রিপবালিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম ও ডেমোক্রেট ডিক ডারবিনের অভিবাসন প্রস্তাবই আলোচনার মূল বিষয়বস্তু ছিল। মানচিন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি দুইপক্ষের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান বের করতে চাই। আর অভিবাসন ইস্যু অবশ্যই থাকবে।
এদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সংকট সমাধানের পথ খুঁজতে শনিবার সিনেটার সুসান কলিনসের সঙ্গে কথা বলেছেন ১৮ আইনপ্রণেতা। তারা নিজেদের ‘কমনসেন্স কোয়ালিশন’ বলে দাবি করছে। সিনেটর জো মানচিন বলেছেন, শনিবার রাতে বা রোববার এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব দেওয়া হবে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
এসএইচ/
আরও পড়ুন