সন্ত্রাসের চাইতেও বড় হুমকি চীন-রাশিয়া
প্রকাশিত : ১৮:৪৬, ২১ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪৭, ২১ জানুয়ারি ২০১৮
সন্ত্রাসের চাইতেও রাশিয়াকে বড় হুমকি মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা যাই বলুক না কেন, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়াকে তাদের সবচেয়ে বড় হুমকি বলেই বিবেচনা করে আসছে।
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে দুই দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র যে অস্ত্র ও সেনা খরচ করেছে, তাতে দেশটি তার পররাষ্ট্র নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনার কথা চিন্তা করছে পেন্টাগন, এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে ওই যুদ্ধে কিছু লাভ হলেও পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে দেশটির বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। ওয়াশিংটন পোস্টের এক নিবন্ধে বিষয়টি উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জরিপে দেখা যাচ্ছে, দেশটির নাগরিকরা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের দ্বারা মারাত্মক হুমকিতে রয়েছে। সম্প্রতি পেন্টাগন তার দেশের সামরিক নীতির একটি খসড়া প্রকাশ করেছে। এতে সন্ত্রাসের চাইতেও চীন ও রাশিয়াকে দেশটির জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। আর তাই দেশ দুটিকে মোকাবেলায় পেন্টাগন তার নীতিতে বড় ধরণের পরিবর্তন আনবে বলে জানা গেছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বেশ কয়েকটি নির্বাচনের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশটির নাগরিকরা এখনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসের হুমকিতে রয়েছে। শুধু তাই নয়, দেশটির সাধারণ ভোটারদের মধ্যে সম্প্রতি চীন ও রাশিয়ার সামরিক শক্তিও চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছে।
গত শুক্রবার দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা কৌশল প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব জিম ম্যাটিস ওই ডকুমেন্টের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক খাতে আর্থিক বিনিয়োগ টেকসই করতে আর অপচয় করতে চায়না। তাই অন্যদেশ গুলির প্রতি নজর দিয়েই নতুন সামরিক কৌশল নির্ধারণ করবে দেশটি।
এসময় তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাবো। তবে বিশ্বব্যাপী ক্ষমতাধর দেশগুলির প্রতিও আমাদের নজর দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এখন থেকে সন্ত্রাস নয়, বরং প্রতিদ্বন্দ্বি দেশগুলোই দেশটিই প্রাধান্য দিবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। বেইজিং আর মস্কোকে দেশটির প্রধান শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে এখন থেকে চীন ও রাশিয়াকে প্রাধান্য দিবে দেশ দুটি।
একইসঙ্গে উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে বিশ্বের নোংরা সাম্রাজ্য হিসেবে চিহ্নিত করেন ম্যাটিস। আর এ দুইটি দেশকে থামাতে যুক্তরাষ্ট্র শিগগিরই ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছেন ম্যাটিস।
সুত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
এমজে/
আরও পড়ুন