ভারতের ৭৩ শতাংশ সম্পদ এক শতাংশের হাতে
প্রকাশিত : ১২:১৪, ২২ জানুয়ারি ২০১৮
ভারত ক্রমান্বয়ে ধনী দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হচ্ছে। দেশের মূল সম্পদের পরিমাণও বাড়ছে। তবে রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের ভাগ্য বদলালেও ভাগ্য বদলাচ্ছে না ৬৭ কোটি ভারতীয় নাগরিকের। দেশটির ৭৩ শতাংশ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র এক শতাংশ ধনী ব্যক্তি। এমনই তথ্য দিয়েছে দাতা সংস্থা অক্সফাম।
গত বছর দেশটিতে যে সম্পদ উৎপন্ন হয়েছে, তার ৭৩ শতাংশ-ই চলে গেছে মাত্র এক শতাংশের পকেটে। আর এর মাধ্যমে দেশটির মারাত্মক আয়-বৈষম্যের চিত্র ফুটে ওঠেছে। অন্যদিকে দেশটির ৬৭ কোটি মানুষের মোট সম্পদ বেড়েছে মাত্র এক শতাংশ। অক্সফাম এমন একটি সময় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করলো, যখন দেশটিতে বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবেররা মিলিত হতে যাচ্ছেন।
‘রিওয়ার্ড ওয়ার্ক, নট ওয়েল্থ’ (কাজকে মূল্য দাও, সম্পত্তিকে নয়) শিরোনামে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দেখানে হয়, মাত্র অল্প কয়েকজন ব্যক্তি কিভাবে বিশ্বের সকল সম্পদের উপর ক্রমান্বয়ে কর্তৃত্ব লাভ করছে। অন্যদিকে কোটি কোটি মানুষ কেবল বাঁচার তাগিদে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। যাদের না আছে সম্পদ, না আছে কোন সম্পত্তি। কেবল কায়িক শ্রমের মাধ্যমে একটু বেঁচে থাকার আশায় অমানষিক ও হাঁড়ভাঙ্গা খাটুনি দিয়ে যাচ্ছেন।
অক্সফামের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর বিশ্বের সম্পদ ৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যার মাত্র এক শতাংশ গেছে গরীবদের পকেটে। বাকি ৮১ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করছে মাত্র কয়েকজন শীর্ষ ধনকুবের। এতে বিশ্বব্যাপী ৩৭০ কোটি মানুষ আরও দারিদ্র্য হয়ে পড়ছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
অক্সফাম প্রতিবছরই এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। অক্সফামের এ প্রতিবেদনটি এবার বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে আলোচিত হবে বলে জানা গেছে। গত বছরের করা জরিপে দেখা গেছে, ভারতের শীর্ষ ধনীরা দেশটির ৫৮ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করছে। মাত্র একবছরের ব্যবধানে ১৫ শতাংশ সম্পদ নিজেদের পকেটে পুড়েছে ভারতের ওই ধনকুবেররা। তবে বিশ্বে মোট সম্পদের ৫০ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করছে ধনীরা।
এবছর ভারতের শীর্ষ ধনীদের ( এক শতাংশের) সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০.৯ লাখ কোটি রুপি। যা দেশটির এক বছরের মোট বাজেটের সমপরিমাণ বলে জানা গেছে। শুধু ভারতেরই নয়, ২০১৭ সালটি ছিল ধনীদের জন্য আশীর্বাদের বছর। এ বছর বিশ্বজুড়ে তাদের মোট সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে আশ্চর্জনকভাবে। তাদের মোট সম্পদ গত ৭ বছরের ব্যবধানে যে হারে বেড়েছে, তা গরীবদের তুলনায় ৭ গুনেরও বেশি।
সুত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
এমজে/
আরও পড়ুন