ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ভাগ্যে কি আছে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ২২ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৯:১৯, ২২ জানুয়ারি ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ইকুয়েডরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লেনিন মরিনো উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে তার দেশের জন্য একটি সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। শুধু তাই নয়, তার বিষয়ে দ্রুতই দেশটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অাসতে পারবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। এতে দেশটির দূতাবাসে দীর্ঘ ৫ বছর ধরে আশ্রয়ে থাকা অ্যাসাঞ্জের কপালে কি ঘটতে যাচ্ছে, এমনই প্রশ্ন অ্যাসাঞ্জ প্রেমীদের। 

লেনিন মরিনো অভিযোগ করে বলেন, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ মানেই সমস্যা। আর তার সরকার বর্তমানে যতগুলো সমস্যা মোকাবেলা করছে, তার চেয়েও বড় সমস্যার নাম উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে লেনিন মরিনো বলেন, আশা করছি আমরা খুব শিগগিরই এ সমস্যা থেকে উত্তরাতে পারবো। গত মাসে দেশটি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে নাগরিকত্ব দেওয়ার ঘোষণা দেয়। ব্রিটিনের হাত থেকে বাঁচাতেই তাকে কূটনৈতিক আশ্রয় দিয়েছিল দেশটি।

টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে লেনিন মরিনো আরও বলেন, তার দেশ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করবে। তবে কাকে দেশটি কূটনৈতিক আশ্রয় দিবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি মরিনো।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক এঁড়াতে সুইডেন থেকে পালিয়ে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নেয়। তারপর থেকে তিনি ইকুয়েডরের দূতাবাসে আছেন বলে জানান মরিনো। তবে সুইডেন পরবর্তীতে ওই তদন্ত কার্যক্রম শিথীল করলেও ব্রিটেন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। ধারণা করা হচ্ছে, অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের পর তাকে যুক্তরাষ্ট্রের্ হাতে তুলে দিতে পারে ব্রিটেন।

২০১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ গোপন নথি প্রকাশ করে আলোচনায় আসে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ ও তার উইকিলিকস। পরে ২০১২ সালে ইকুয়েডরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাফায়েল কোরি তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেন। এদিকে ২০১৬ সালে আবারও আলোচনায় উঠে আছেন অ্যাসাঞ্জ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের গোপন ইমেইল প্রকাশ করে ডেমোক্র্যাটদের বেকায়দায় ফেলে দেন অ্যাসাঞ্জ।

সম্প্রতি জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ কাতালোনিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে টুইট করায় তার উপর ক্ষিপ্ত হন প্রেসিডেন্ট মরিনো। তবে মরিনোর প্রতিক্রিয়ার পেছনে স্পেনের সরকার কলকাঠি নাড়ছে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা। তবে মরিনো যাই বলুক না কেন, ইকুয়েডরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিয়া ফার্নান্দো বলেন, রাজনৈতিক আশ্রয় বিষয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি যে নীতি অ্যাসাঞ্জের ক্ষেত্রে নিয়েছিল, সে নীতি-ই তার ক্ষেত্রে বহাল থাকবে।

সুত্র: রয়টার্স
জুয়েল/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি