ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

গান্ধী হত্যার ৭০ বছর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৪, ৩০ জানুয়ারি ২০১৮

আজ থেকে ৭০ বছর পূর্বে ভারতীয় জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে হত্যা করে আঁততায়ীরা। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আজকের এইদিনে স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৫ মাস পর দুবৃত্তদের হাতে নিহত হন অহিংসবাদের প্রবক্তা মহাত্মা গান্ধী। আজকের এই দিনে থাকছে তাঁর জীবনের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের চিত্র।

১. ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গুজরাটের পরবানদারে জন্মগ্রহণ করেন।
২. ১৮৮৩ সালে বাবা-মায়ের ইচ্ছেতে কাস্তুরবা মাকনজিকে বিয়ে করেন তিনি। তাঁদের ঘরে চার সন্তান হয়।
৩. ১৮৮৮ সাল থেকে ১৮৯১ সাল পর্যন্ত লন্ডনে আইন বিষয়ে পড়ালেখা করেন তিনি।
৪. ১৮৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাতে আইনজীবি হিসেবে পেশাজীবন শুরু। এরপর ১৯১৩ সালে ভারতের অভিবাসন নীতি নিয়ে প্রথম অহিংস আন্দোলনের সূচনা করেন তিনি।
৫. ১৯২২ সালে ভারতীয় কংগ্রেসের জাতীয় নৈতিক কমিটির প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গান্ধী ব্রিটিশ উপনিবেশের বিরুদ্ধে প্রথম অহিংস আন্দোলন শুরু করতে নাগরিকদের আহ্বান জানান। এসময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুই বছর জেলে থাকার পর ১৯২৪ সালে তিনি মুক্তি পান।
৬. এরপর ১৯৩০ সালে ভারতে বিখ্যাত সল্ট মার্চ খ্যাত লং মার্চ আন্দোলন শুরু করেন। রাষ্ট্রে লবণের একচ্ছত্র বাজারের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলনে নামেন, যা আশ্রম থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে।
৭. এরপর ১৯৩২ সালে আবারও জেলে যেতে হয় তাকে। শুধু তাই নয়, তখন তিনি প্রথম অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।
৮. ১৯৪২ সালে ভারতের স্বাধীনতার দাবিতে হরতালের ডাক দেন। এরপর টানা দুই বছর তাকে জেলে কাটাতে হয়।
৯. ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারত স্বাধীনতা পায়। তবে গান্ধী ধর্মের ভিত্তিতে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পক্ষে ছিলেন না। বরং তিনি পুরো ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছিলেন।
১০. অবশেষে ১৯৪৮ সালে নয়া দিল্লীতে কট্টরপন্থী হিন্দুদের দ্বারা তিনি নিহত হন। তবে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে, তা আজও অজানা। তাঁর শেষকৃত্যে অন্তত ২০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করে।

সূত্র: এএফপি
এমজে/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি