সেনাবাহিনীর দখলে মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন
প্রকাশিত : ১৮:২৪, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:১১, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
মালদ্বীপের পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে বিরোধীদলীয় দুই সংসদ সদস্যকে।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির সুপ্রিম কোর্ট দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাবন্দি দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদসহ বেশ কয়েকজন বিরোধীদলীয় নেতাকে মুক্তি দিতে আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের এ আদেশ অমান্য করায় বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিনকে অপসারণের চেষ্টা শুরু হয়েছে বলে রোববার মালদ্বীপের অ্যাটর্নি জেনারেল জানান।
সুপ্রিম কোর্টের ওই আদেশের ফলে দেশটিতে গভীর রাজনৈতিক সঙ্কট শুরু হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপের অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যর্থ হয়েছেন বলে অভিযোগ এনে রোববার তার পদত্যাগের দাবিতে সংসদ সচিবালয়ে পিটিশন দিয়েছেন বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা।
পিটিশন দায়েরের পর রাজধানী মালিতে অবস্থিত দেশটির পার্লামেন্ট ভবনের চারপাশে অবস্থান নেয় সেনাবাহিনীর দাঙ্গা ইউনিটের সদস্যরা।
৮৫ আসনবিশিষ্ট মালদ্বীপের পার্লামেন্টে বিরোধীদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। গত বছর দেশটির ক্ষমতাসীন দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় পার্লামেন্টের ১২ সদস্যের পদ বাতিল করা হয়। পরে পুনরায় তাদের স্বপদে বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্ট।
প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লা ইয়ামিনকে অভিশংসনের জন্য সুপ্রিম কোর্ট চেষ্টা করছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পার্লামেন্ট সিলগালা করে দিল দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী।
রোববার স্থানীয় সময় সকালের দিকে মালদ্বীপের সেনাবাহিনী ও পুলিশপ্রধানের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অনিল। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের আদেশ জারি করতে পারেন বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমি সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানিয়েছি যে, এ ধরনের একটি অবৈধ আদেশ মানা উচিত হবে না তাদের।’
অ্যাটর্নি জেনারেল অনিল বলেন, রাজধানী মালেতে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে তিনি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। সেনাবাহিনীর প্রধান আহমেদ শিয়াম বলেন, মালদ্বীপ সঙ্কটে পড়বে আর তা দেখে বসে থাকবে না নিরাপত্তাবাহিনী।
তিনি বলেন, আমরা অ্যাটর্নি জেনারেলের বৈধ আদেশ অনুস্মরণ করবো এবং বেআইনি কোনো নির্দেশ মানতে বাধ্য হবো না।
এসি/
আরও পড়ুন