ফ্লোরিডায় স্কুলে গুলিবর্ষণে নিহত ১৭
প্রকাশিত : ০৮:৫৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ০৯:৪৬, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন ব্রোওয়ার্ড অঞ্চলের শেরিফ স্কট ইসরায়েল। পুলিশ জানায়, পার্কল্যান্ড স্কুলে গতকাল বুধবার দুপুর ৩টার কিছু আগে এ হামলা চালায় স্কুলটিরই সাবেক ছাত্র নিকোলাস ক্রুজ। খবর বিবিসির।
১৯ বছর বয়সী নিকোলাসকে গত বছর স্কুলটি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারই জের ধরে তিনি এ হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করছে পুলিশ। শেরিফ ইসরায়েল এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে স্কুলটির প্রবেশের আগে স্কুল ভবনের বাইরে তিনজনকে হত্যা করে ক্রুজ। এরপর স্কুলটিতে ঢুকেই এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে। এতে নিহত হয় আরও ১২ জন। বাকি দুইজন হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান। এছাড়াও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে আরও তিনজন। নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় এখনও প্রকাশ করেনি পুলিশ। তবে নিহতদের মধ্যে একজন স্কুলটির ফুটবল কোচ। হামলাকারী ক্রুজকে জীবিত আটক করেছে ব্রোওয়ার্ড অঞ্চলের পুলিশ।
হামলা ও পুলিশের অভিযান
স্কুলটিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, হামলাকারী ক্রুজ তার আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর আগে স্কুল ভবনটির ফায়ার এলার্ম সক্রিয় করে দেন। তিনি যখন হামলা চালান তার কিছু পরেই ছুটি হওয়ার সময় ছিল স্কুলটির। তবে ছুটির ঘণ্টার বদলে ভবনটিতে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শোনের গুলির আওয়াজ।
হামলার শিকার সাক্ষীরা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, তারা প্রথমে মনে করেছিলেন এটা হয়তো স্কুলের কোন অনুশীলনমূলক মহড়া। তবে যখন তারা বুঝলেন যে সত্যিকার গুলিবর্ষণ হচ্ছে তখন তারা নিজেদের রক্ষার্থে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পরেন। পরে পুলিশ ও সোয়াটের যৌথ অভিযানে উদ্ধার পান তারা। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে চলে যৌথ বাহিনীর অভিযান।
বাজে দুঃস্বপ্ন
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের শিক্ষাবিষয়ক সুপারেনটেন্ডেন্ট রবার্ট রুনসি বলেন, “আমাদের জন্য একটি ভয়াবহ দিন ছিল এটি”। শোক বার্তা জানিয়ে টুইট করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি নিন্দা ও গভীর শোক জানাচ্ছি। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের কোন শিশু, শিক্ষার্থী অথবা শিক্ষক স্কুলে এতটা অনিরাপদ বোধ করেনি।’ ফ্লোরিডার সিনেটর মার্কো রুবি এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘সর্বোচ্চ ক্ষয়ক্ষতির জন্য পরিকল্পনা করেই এ হামলা করা হয়েছে।’ ফ্লোরিডার কংগ্রেসম্যান এবং ডিস্ট্রিক্ট প্রতিনিধি টেড ডাচ বলেন, ‘এ হামলার খবরে আমি অসুস্থ বোধ করছি। শেরিফের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এটা ছিল ভয়াবহ।’
২০১২ সালে দেশটির কানেকটিকাট স্কুলে হামলার পর এটিই সব থেকে ভয়াবহ হামলা। কানেকটিকাটের ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ২৬ জন।
সূত্রঃ বিবিসি।
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন