জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মদ খাইয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ
প্রকাশিত : ১০:৫৪, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
জন্মদিনের পার্টিতে বান্ধবীকে ডেকে আনে এক তরুণ। পার্টিতে গল্প-আড্ডা-মাস্তির সঙ্গে চলছিল মদ্যপানও। একপর্যায়ে তরুণী বেহুঁশ হয়ে পড়লে তার বন্ধুসহ তিনজন মিলে তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে। গত মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা জেলার সোনারপুরের ঘটনা এটি।
এ ঘটনায় পরে তরুণীর মা তাঁর মেয়ের বন্ধুসহ তিন যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতারও করেছে সোনারপুর থানার পুলিশ। তবে অভিযুক্তদের পরিবারের দাবি, মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে তাদের।
গ্রেফতার যুবকদের নাম উৎপল গায়েন, তমোজিৎ মিত্র ও অর্ঘ্য দাস। এর মধ্যে অর্ঘ্যের সঙ্গে তরুণীর আগে থেকে বন্ধুত্ব ছিল। তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়েছে। যদিও তাতে ধর্ষণের নির্দিষ্ট প্রমাণ মেলেনি বলেই পুলিশ সূত্রের দাবি।
তরুণীর মায়ের দাবি, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ তিনি খবর পান যে তাঁর ছোট মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গেছে। তখন তিনি বড় মেয়েকে নিয়ে উৎপলের বাড়িতে যান। মায়ের অভিযোগ, ওই তিন যুবক তাঁর মেয়েকে মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করেছেন।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, অর্ঘ্য একটি কলেজে সাংবাদিকতা নিয়ে স্নাতক স্তরের ছাত্র। উৎপল একটি ব্যাগের কারখানায় চাকরি করেন। তমোজিৎ-ও ছোটখাটো চাকরি করেন। মঙ্গলবার অর্ঘ্যের জন্মদিন ছিল। তিনিই দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে জন্মদিনের পার্টিতে যেতে বলেন। তবে তাঁর বাড়িতে নয়, পার্টি উৎপলের বাড়িতে হবে বলেই তাঁকে জানানো হয়েছিল। সেই মতো তরুণী সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ উৎপলের বাড়িতে যান। সে সময় অর্ঘ্য ও উৎপল ছাড়া তমোজিৎ সেখানে ছিলেন।
তদন্তকারীদের একাংশের বক্তব্য, বন্ধুদের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন ওই তরুণী। তার জেরেই হুঁশ হারিয়েছিলেন। উৎপলের পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা জেনেছেন, মদ্যপান নিয়েই উৎপলের এক কাকা আপত্তি তোলেন। আলুথালু বেশে বেহুঁশ তরুণীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তখন অর্ঘ্য পাল্টা চড়াও হন তাঁর উপরে। এই গোলমালের জেরেই আশপাশের বাসিন্দারা জড়ো হন। মেয়েটির বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়।
তরুণীর মা জানান, বাড়ি ফিরে আসার পরে মেয়েটি অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। স্থানীয় চিকিৎসকে মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
সূত্র : আনন্দবাজার।
আরও পড়ুন