এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌনতার অভিযোগ প্লেবয় মডেলের!
প্রকাশিত : ১১:৫৬, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। একের পর এক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন তিনি। এবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন প্রাক্তন এক প্লেবয় মডেল। তার নাম কারেন ম্যাকডাউগল। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের তিনি প্রাক্তন প্রেমিকা। তার সঙ্গে ট্রাম্পের যৌন সম্পর্ক থাকার অভিযোগও করেন ম্যাকডাউগল।
কারেন ম্যাকডাউগলের ভাষ্য, ২০১৬ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয়, তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্কও তৈরি হয়েছিল। ট্রাম্প তাকে তার জীবনে ‘বিশেষ’ নারী বলেছিলেন। আর এর ঠিক এক মাস আগে বর্তমান মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলেনিয়া ট্রাম্প ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ সন্তানের জন্ম দেন।
এদিকে এই সম্পর্কের খবর ফাঁস হওয়ার পর ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এবং ট্রাম্পের হাত নিজের হাত থেকে সরিয়ে দিয়েছেন বলে খবর এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে।
নিউ ইয়র্কার সাময়িকীকে ম্যাকডাউগল বলেন, ২০০৬ সালে প্লেবয় ম্যানশনে প্লেবয় কর্ণধার (বর্তমানে প্রয়াত) হিউ হফনারের একটি পার্টিতে তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল ব্যবসায়ী ট্রাম্পের। তখন তার প্রতি আসক্তি দেখে তাকে ট্রাম্পের ‘পরবর্তী স্ত্রী’ আখ্যায়িত করেছিলেন প্লেবয়ের একজন বিপণন কর্মকর্তা।
প্লেবয় ম্যানশনে সাক্ষাতের পর ট্রাম্পের ব্যক্তিগত বাংলা বেভারলি হিলসে নিয়মিত মিলিত হওয়ার দাবি করছেন ম্যাকডাউগল। তিনি তার দিনলিপিতে লিখেছেন, ‘ট্রাম্প আমাকে অর্থ দিতে চেয়েছিল। সেকথা শুনে আমি তখন আহত হয়েছিলাম। আমি বলেছিলাম, আমি সেই রকম মেয়ে নই। আমি অর্থের জন্য তোমার সঙ্গে শুইনি। আমি তোমাকে পছন্দ করেছি বলে তোমার সঙ্গে শুয়েছি। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, তুমি ‘স্পেশাল ওয়ান’।
২০০৭ সালে ট্রাম্পের মুখে এক বর্ণবাদী মন্তব্য শুনে তার প্রতি আগ্রহ হারান ম্যাকডাউগল। ওই বছরের এপ্রিলে তাদের সম্পর্কচ্ছেদ ঘটে।
ম্যাকডাউগাল বলছেন, এই সম্পর্কের কথা প্রকাশ নিয়ে বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি, তবে স্টরমি ড্যানিয়েল মুখ খোলার পর উৎসাহিত হন তিনি।
ম্যাকডাউগাল বলছেন, তার সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্ক চলার মধ্যে তিন মাসের ব্যারনকে নিয়ে নিউইয়র্কে ফিরেছিলেন মেলানিয়া, যিনি ট্রাম্পের তৃতীয় স্ত্রী।
নিউ ইয়র্কারে যখন খবরটি ছাপা হয়, তখন মেলানিয়া ও ট্রাম্প ফ্লোরিডায়; স্কুলে এক তরুণের গুলিতে হতাহত পরিবারগুলোকে সান্ত্বনা জানাতে গিয়েছিলেন তারা।
সিএনএন’র এর এক ভিডিওতে দেখা যায়, বিমান থেকে নামার সময় ট্রাম্পের হাত ঝটকায় সরিয়ে দিচ্ছেন মেলানিয়া।
মেলানিয়ার এই শীতল প্রতিক্রিয়া নিউ ইয়র্কারে খবরটি দেখে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে হোয়াইট হাউস বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে কখনও ম্যাকডোগালের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এটা সেই পুরনো গল্প, একটা ভুয়া খবর ছাড়া কিছুই নয়।
ম্যাকডাউগলের অভিযোগের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ম্যাকডাউগলের সম্পর্ক ছিল ৯ মাস। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট কারেন এক সাক্ষাৎকারে জানান, এক বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে তার রোম্যান্টিক ও শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল।
ম্যাকডাউগল আরও জানান, শুধু তার সঙ্গেই নয়; পর্নস্টার স্টিফানি শিফর্ড, ওরফে স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গেও ট্রাম্পের সম্পর্ক ছিল।
উল্লেখ্য, স্টর্মি ড্যানিয়েলেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ১ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন এই টাকা তাকে দিয়েছিলেন তা জানাননি ট্রাম্প।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল, স্টর্মি ড্যানিয়েলের সঙ্গে সম্পর্কের কথা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় ঘর ছেড়েছিলেন মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প।
তথ্যসূত্র: এনবিসি নিউজ ও নিউ ইয়র্কার
/ এআর /
আরও পড়ুন