মে মাসের মধ্যেই জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর
প্রকাশিত : ১১:০৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
২০১৮ সালের মধ্যে জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস সরানো হবে না বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পূর্ব ঘোষণা থাকলেও, এবার দেশটি বলছে আগামী মে মাসের মধ্যেই তেল-আবিব থেকে তাদের দূতাবাস সরিয়ে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র হিদার নোরেট বলেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর পূর্তিতে বিশেষ উপহার হিসেবে দেশটি আগামী মে মাসের মধ্যেই জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তর করবে। এসময় তিনি বলেন, দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে আমরা উচ্ছ্বসিত। ইসরায়েলের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে এর চাইতে আর ভাল উপহার হতে পারে না।’
মে মাসের মধ্যে কেবল অন্তবর্তী দূতাবাস স্থানান্তর করা হবে সেখানে। জেরুজালেম দূতাবাসে কেবল রাষ্ট্রদূত ও উচ্চপদস্থ কয়েকজন কর্মকর্তার জায়গা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পরবর্তীতে ২০১৯ সাল নাগাদ তাদের দূতাবাসটি পুরোপুরিভাবে তেল-আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র এমন সিদ্ধান্ত নিলে পুরো বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় ওঠে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, দিনটি ইসরায়েলিদের জন্য একটি আনন্দের দিন। এদিকে এমন খবরে নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের এক মুখপাত্র নাবিল আবু দায়নাহ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ অগ্রহণযোগ্য। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তে এই এলাকায় শান্তি প্রচেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়াবে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমি বিশ্বকে স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমি এটা করবোই। আমার এই সিদ্ধান্তের জন্য অনেক দেশের আক্রমণের শিকার হয়েছি। আবার অনেকেই চাপ সৃষ্টি করেছেন। অনেকে বারবার অনুরোধ করেছেন যাতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না করি। তবে আমি বলতে চাই, আমি এটি বাস্তবায়ন করবোই।
সূত্র: রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন